এই সময়
এই সময়
এখন সময় বড় অন্যরকম। এখন সময় উদ্বেগের, সময় বিষাদের। কোথায়ও বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন শিশুশরীর, কখনও রক্তে ভাসে স্টেশনচত্বর, শপিং মল, ভিড়ে ঠাসা স্টেডিয়াম, অথবা অ্যাম্বুশের মাঝখানে পড়ে যায় সাধারণ যাত্রীবাহী বাস-বুলেট গেঁথে যায় নিরীহ শিক্ষিকাকে, সন্ধ্যাবেলা ঘরে ফেরে না গৃহস্থ-স্রেফ লশ হয়ে যায়, নরদেহের টুকরোয়, রক্তে মাখামাখি পড়ে থাকে আমাদের চটি, জুতো, পুতুল, টিফিন কৌটো কিংবা বাজারের ব্যাগ। সময় বড় অন্যরকম। সময় বড় ভয়ের, সময় বড় অস্বস্তির। তুতোভাই, সিমকার্ড আর ওয়ান ওয়ে টিকেটে সন্তাসবাদীর সংজ্ঞা নিরুপণ। বুক বাজিয়ে ধর্মযুদ্ধে যায় মহাশক্তিধর, ধর্মগ্রন্থের ভুল ব্যাখ্যায়, অসম্পূর্ণ উদ্ধৃতিতে ফতোয়া জারি হয়ে যায় হুটহাট, ত্রিশূলের উঁকিঝুঁকি এদিক-ওদিক। সুশিক্ষিত মানুষের নখ দাঁত দেখা যায় ঘরোয়া আসরে। এ বড় ভয়ঙ্কর সময়।
এসময় অন্যরকম। এ বড় বিস্মৃতির সময়। সকালের হেডলাইন বিকেলে মনে পড়ে না, আজকের কথা কাল ভুলে যাব, কালকের কথা পরশু। যদিও তাঁর অনুবাদ লাখে লাখে বিকোয়, এই অদ্ভুত সময়ে আটশো বছর আগের মানুষটিকে ভুলে যাওয়াই স্বাভাবিক। মনে করায় ইউনেস্কো -- দু'হাজার সাতকে রুমির বছর ঘোষণা করে, সেই সূত্রেই এই শহরেও আসেন জালালুদ্দিন রুমি, সুফি সাধক, মরমিয়া কবি। সেদিনের সন্ধ্যায় সিডনি টাউন হলে ইউনেস্কো আর টার্কির পর্যটন বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠান -- Whirling Dervishes - ঘুরন্ত ফকির। দু'হাজার আসনের প্রেক্ষাগৃহে কানায় কানায় ভরা। টার্কির ওপর একটি ভিডিও ক্লিপিং আর দুজন মন্ত্রীর ভাষণের পরে অনুষ্ঠানের সূত্র ধরিয়ে দেওয়া হয়। খুব সংক্ষেপে বলতে গেলে, ওটোমান সাম্রাজ্যের সময় থেকেই রুমির অনুসারীরা "সামা'য় অংশ নেন। সামা খুব সম্ভব আরবী শব্দ-অনেক অর্থের মধ্যে একটি অর্থ খুব মন দিয়ে কিছু শোনা। সুফি মৌলবীরা রুমির কিছু পংক্তির সুরমূর্ছনায় ঘুরবেন, ভাববিভোর -- সেই থেকেই ঘুরন্ত ফকির কথাটি।
স্বল্পালোকিত মঞ্চে একে একে জনা কুড়ি পুরুষ ঢুকলেন -- ধীরগতি, বিনম্র -- কালো জোব্বা, লালচে টুপি - সিক্কা। এক বৃদ্ধের টুপিতে শুধু সবুজ বর্ডার। বৃদ্ধ মঞ্চের ডানদিকে হাঁটু মুড়ে বসলেন -- বাকিরা মঞ্চের মাঝখানে তিনটি ধাপে কারোর হাতে বাদ্যযন্ত্র -- সবই অচেনা প্রায়। কেউ বা খালি হাতে -- তাঁরা গাইবেন -- সামনে স্বরলিপি। গানের দল ওপরের ধাপে, মাঝের ধাপে বাদকবৃন্দ আর নীচে সাত আটজন হাঁটু মুড়ে যাঁদের সামনে স্বরলিপির খাতা বা বাদ্যযন্ত্র কিছুই নেই। শুরুতে বাঁশি বেজে উঠল মৃদু, ধীরলয় -- "বাঁশি শোনো, শোনো বাঁশি/বাঁশি বাজে বিরহের, বাঁশি বলে ভালোবাসি'। বাঁশির পরেই একক পুরুষকণ্ঠ সুর ধরলেন -- পয়গম্বর মুহম্মদের উদ্দেশে -- অনেকটা আজানের মতো -- 'Who cares for painful days now gone/For you remain, O pure one.'। একক কন্ঠের সঙ্গে সুর মেলালেন বাকিরা, আর সমস্ত বাদ্যযন্ত্র বেজে উঠল। বৃদ্ধ উথে দাঁড়ালেন। সামনের সারির ওই আটজন একে একে বৃদ্ধের দিকে এগিয়ে এলেন। প্রথমজন বৃদ্ধের কাছে এসে মাথা ঝোঁকালেন, বৃদ্ধও ঝোঁকালেন মাথা। বৃদ্ধ সামান্য এগোলেন, প্রথমজন তখন বৃদ্ধের জায়গায় দাঁড়ালেন, দ্বিতীয়জন এলেন, সেই একইরকম অভিবাদনের আদান-প্রদান -- এবারে প্রথম এগিয়ে গেলে, দ্বিতীয় ওই জায়গা নিলেন -- এইভাবে বৃত্তপথে ঘুরতে লাগলেন সবাই -- তিনবার পরিক্রমা এইভাবে নিশ্চিত জ্ঞানে, নিশ্চিত দর্শনে, নিশ্চিত উপলব্ধিতে -- In every company, I moaned and I cried/The miserable and the happy, both in friendship tried'. সুর বদলে গেল। বৃদ্ধ আবার মঞ্চের ডানদিকে এলেন -- প্রথম দরবেশ এগিয়ে এলেন -- বৃদ্ধের খুব কাছে -- বৃদ্ধ তার কানে কানে কিছু বললেন -- তিনি সামান্য এগিয়ে দাঁড়ালেন -- দ্বিতীয় এলেন বৃদ্ধের কানে-কানে কথা হল। 'Come, come whoever you are/Wanderer, woshipper, lover of living, it doesn't matter/Ours is not a caravan of despair/Come, even if you have broken your vow a thousand times/Come yet again, come come.'
এবারে দ্বিতীয়জন প্রথমের কাছে এসে তাঁকে প্রদক্ষিণ করলেন যেন, প্রদক্ষিণ শেষে খুলে ফেললেন কালো জোব্বা -- ভিতরে সম্পূর্ণ সাদা পোশাক -- ঘাগরার মতো -- তলায় চাপা পাজামা -- ওপরেও সাদা জামা বহিরঙ্গের আবরণ ছেড়ে অন্তরে সত্যের সন্ধানে বোঝাতে। ঘুরতে লাগলেন আপন অক্ষ বরাবর, হাত দুটি শরীরের খুব কাছে নিয়ে ঘাড়টি ঈষৎ হেলিয়ে ক্রমে দু'হাত প্রসারিত হল -- ডান হাতের মুদ্রা ঊর্ধগামি, বাঁ হাতের মুদ্রা মাটির দিকে -- ঘুরছিলেন দম দেওয়া পুতুলের মতো -- একে একে বাকি সবাই। এই ঘূর্ণনের অর্থ -- মহাবিশ্ব, মানুষের জীবনচক্র এবং আত্মোপলব্ধিতে "ইনসান-ই-কামিল' হয়ে ওঠা -- "উদারতায় নদীর মতো যেন, ব্যক্তিত্বে সূর্যস্বরূপ হই/পরদোষ ঢাকি রাতের আঁধার হয়ে, ক্রোধপ্রকাশে যেন মৃতবৎ রই/বিনম্রতায় মাটির কাছেই থাকি, সাগরসম সকল যেন সই/যেমন আছি তেমনই আসি যেন, যেমন আসি তেমনই যেন হই' -- এক একটি ঘূর্ণনশেষে বাঁ হাতটি ডান কাঁধে আর ডান হাতটি বাঁ কাঁধে রেখে দাঁড়িয়ে থাকছিলেন তাঁরা, পাশাপাশি। তারপর আবার প্রদক্ষিণ, আবার ঘূর্ণন, আবার দাঁড়িয়ে থাকা কোণাকুণি দু'কাঁধ ধরে ... "একটি ঘূর্ণন আছে আমাদের গোপনে, গভীরে; ব্রহ্মাণ্ডকে এই, যা ঘোরাও। মাথাও জানে না পা-কে, পা-ও কি জেনেছে মাথাটিরে?'
আটজন ফকির ঘুরে চলছিলেন মঞ্চে। প্রেক্ষাগৃহ করতালিতে মুখর হচ্ছিল। ঠিক সেই সময়ে বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হচ্ছিল মানবশরীরে -- লেবাননে, আফগানিস্তানে, ইরাকে, লুম্বিনী পার্ক লেসারিয়ামে, মাহিম রেলস্টেশনে, লন্ডনের বাসে, ... সন্ত্রাসবাদীর সংজ্ঞা নির্ধারিত হচ্ছিল ধর্মে ও শ্মশ্রুগুম্ফে। চায়ের পেয়ালার তুফানে বেরিয়ে পড়ছিল ভদ্র সুশিক্ষিত মানুষের নখদন্ত। জালালুদ্দিন রুমি বিস্মৃত হচ্ছিলেন।
এখন সময় বড় অন্যরকম। এখন সময় উদ্বেগের, সময় বিষাদের। কোথায়ও বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন শিশুশরীর, কখনও রক্তে ভাসে স্টেশনচত্বর, শপিং মল, ভিড়ে ঠাসা স্টেডিয়াম, অথবা অ্যাম্বুশের মাঝখানে পড়ে যায় সাধারণ যাত্রীবাহী বাস-বুলেট গেঁথে যায় নিরীহ শিক্ষিকাকে, সন্ধ্যাবেলা ঘরে ফেরে না গৃহস্থ-স্রেফ লশ হয়ে যায়, নরদেহের টুকরোয়, রক্তে মাখামাখি পড়ে থাকে আমাদের চটি, জুতো, পুতুল, টিফিন কৌটো কিংবা বাজারের ব্যাগ। সময় বড় অন্যরকম। সময় বড় ভয়ের, সময় বড় অস্বস্তির। তুতোভাই, সিমকার্ড আর ওয়ান ওয়ে টিকেটে সন্তাসবাদীর সংজ্ঞা নিরুপণ। বুক বাজিয়ে ধর্মযুদ্ধে যায় মহাশক্তিধর, ধর্মগ্রন্থের ভুল ব্যাখ্যায়, অসম্পূর্ণ উদ্ধৃতিতে ফতোয়া জারি হয়ে যায় হুটহাট, ত্রিশূলের উঁকিঝুঁকি এদিক-ওদিক। সুশিক্ষিত মানুষের নখ দাঁত দেখা যায় ঘরোয়া আসরে। এ বড় ভয়ঙ্কর সময়।
এসময় অন্যরকম। এ বড় বিস্মৃতির সময়। সকালের হেডলাইন বিকেলে মনে পড়ে না, আজকের কথা কাল ভুলে যাব, কালকের কথা পরশু। যদিও তাঁর অনুবাদ লাখে লাখে বিকোয়, এই অদ্ভুত সময়ে আটশো বছর আগের মানুষটিকে ভুলে যাওয়াই স্বাভাবিক। মনে করায় ইউনেস্কো -- দু'হাজার সাতকে রুমির বছর ঘোষণা করে, সেই সূত্রেই এই শহরেও আসেন জালালুদ্দিন রুমি, সুফি সাধক, মরমিয়া কবি। সেদিনের সন্ধ্যায় সিডনি টাউন হলে ইউনেস্কো আর টার্কির পর্যটন বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠান -- Whirling Dervishes - ঘুরন্ত ফকির। দু'হাজার আসনের প্রেক্ষাগৃহে কানায় কানায় ভরা। টার্কির ওপর একটি ভিডিও ক্লিপিং আর দুজন মন্ত্রীর ভাষণের পরে অনুষ্ঠানের সূত্র ধরিয়ে দেওয়া হয়। খুব সংক্ষেপে বলতে গেলে, ওটোমান সাম্রাজ্যের সময় থেকেই রুমির অনুসারীরা "সামা'য় অংশ নেন। সামা খুব সম্ভব আরবী শব্দ-অনেক অর্থের মধ্যে একটি অর্থ খুব মন দিয়ে কিছু শোনা। সুফি মৌলবীরা রুমির কিছু পংক্তির সুরমূর্ছনায় ঘুরবেন, ভাববিভোর -- সেই থেকেই ঘুরন্ত ফকির কথাটি।
স্বল্পালোকিত মঞ্চে একে একে জনা কুড়ি পুরুষ ঢুকলেন -- ধীরগতি, বিনম্র -- কালো জোব্বা, লালচে টুপি - সিক্কা। এক বৃদ্ধের টুপিতে শুধু সবুজ বর্ডার। বৃদ্ধ মঞ্চের ডানদিকে হাঁটু মুড়ে বসলেন -- বাকিরা মঞ্চের মাঝখানে তিনটি ধাপে কারোর হাতে বাদ্যযন্ত্র -- সবই অচেনা প্রায়। কেউ বা খালি হাতে -- তাঁরা গাইবেন -- সামনে স্বরলিপি। গানের দল ওপরের ধাপে, মাঝের ধাপে বাদকবৃন্দ আর নীচে সাত আটজন হাঁটু মুড়ে যাঁদের সামনে স্বরলিপির খাতা বা বাদ্যযন্ত্র কিছুই নেই। শুরুতে বাঁশি বেজে উঠল মৃদু, ধীরলয় -- "বাঁশি শোনো, শোনো বাঁশি/বাঁশি বাজে বিরহের, বাঁশি বলে ভালোবাসি'। বাঁশির পরেই একক পুরুষকণ্ঠ সুর ধরলেন -- পয়গম্বর মুহম্মদের উদ্দেশে -- অনেকটা আজানের মতো -- 'Who cares for painful days now gone/For you remain, O pure one.'। একক কন্ঠের সঙ্গে সুর মেলালেন বাকিরা, আর সমস্ত বাদ্যযন্ত্র বেজে উঠল। বৃদ্ধ উথে দাঁড়ালেন। সামনের সারির ওই আটজন একে একে বৃদ্ধের দিকে এগিয়ে এলেন। প্রথমজন বৃদ্ধের কাছে এসে মাথা ঝোঁকালেন, বৃদ্ধও ঝোঁকালেন মাথা। বৃদ্ধ সামান্য এগোলেন, প্রথমজন তখন বৃদ্ধের জায়গায় দাঁড়ালেন, দ্বিতীয়জন এলেন, সেই একইরকম অভিবাদনের আদান-প্রদান -- এবারে প্রথম এগিয়ে গেলে, দ্বিতীয় ওই জায়গা নিলেন -- এইভাবে বৃত্তপথে ঘুরতে লাগলেন সবাই -- তিনবার পরিক্রমা এইভাবে নিশ্চিত জ্ঞানে, নিশ্চিত দর্শনে, নিশ্চিত উপলব্ধিতে -- In every company, I moaned and I cried/The miserable and the happy, both in friendship tried'. সুর বদলে গেল। বৃদ্ধ আবার মঞ্চের ডানদিকে এলেন -- প্রথম দরবেশ এগিয়ে এলেন -- বৃদ্ধের খুব কাছে -- বৃদ্ধ তার কানে কানে কিছু বললেন -- তিনি সামান্য এগিয়ে দাঁড়ালেন -- দ্বিতীয় এলেন বৃদ্ধের কানে-কানে কথা হল। 'Come, come whoever you are/Wanderer, woshipper, lover of living, it doesn't matter/Ours is not a caravan of despair/Come, even if you have broken your vow a thousand times/Come yet again, come come.'
এবারে দ্বিতীয়জন প্রথমের কাছে এসে তাঁকে প্রদক্ষিণ করলেন যেন, প্রদক্ষিণ শেষে খুলে ফেললেন কালো জোব্বা -- ভিতরে সম্পূর্ণ সাদা পোশাক -- ঘাগরার মতো -- তলায় চাপা পাজামা -- ওপরেও সাদা জামা বহিরঙ্গের আবরণ ছেড়ে অন্তরে সত্যের সন্ধানে বোঝাতে। ঘুরতে লাগলেন আপন অক্ষ বরাবর, হাত দুটি শরীরের খুব কাছে নিয়ে ঘাড়টি ঈষৎ হেলিয়ে ক্রমে দু'হাত প্রসারিত হল -- ডান হাতের মুদ্রা ঊর্ধগামি, বাঁ হাতের মুদ্রা মাটির দিকে -- ঘুরছিলেন দম দেওয়া পুতুলের মতো -- একে একে বাকি সবাই। এই ঘূর্ণনের অর্থ -- মহাবিশ্ব, মানুষের জীবনচক্র এবং আত্মোপলব্ধিতে "ইনসান-ই-কামিল' হয়ে ওঠা -- "উদারতায় নদীর মতো যেন, ব্যক্তিত্বে সূর্যস্বরূপ হই/পরদোষ ঢাকি রাতের আঁধার হয়ে, ক্রোধপ্রকাশে যেন মৃতবৎ রই/বিনম্রতায় মাটির কাছেই থাকি, সাগরসম সকল যেন সই/যেমন আছি তেমনই আসি যেন, যেমন আসি তেমনই যেন হই' -- এক একটি ঘূর্ণনশেষে বাঁ হাতটি ডান কাঁধে আর ডান হাতটি বাঁ কাঁধে রেখে দাঁড়িয়ে থাকছিলেন তাঁরা, পাশাপাশি। তারপর আবার প্রদক্ষিণ, আবার ঘূর্ণন, আবার দাঁড়িয়ে থাকা কোণাকুণি দু'কাঁধ ধরে ... "একটি ঘূর্ণন আছে আমাদের গোপনে, গভীরে; ব্রহ্মাণ্ডকে এই, যা ঘোরাও। মাথাও জানে না পা-কে, পা-ও কি জেনেছে মাথাটিরে?'
আটজন ফকির ঘুরে চলছিলেন মঞ্চে। প্রেক্ষাগৃহ করতালিতে মুখর হচ্ছিল। ঠিক সেই সময়ে বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হচ্ছিল মানবশরীরে -- লেবাননে, আফগানিস্তানে, ইরাকে, লুম্বিনী পার্ক লেসারিয়ামে, মাহিম রেলস্টেশনে, লন্ডনের বাসে, ... সন্ত্রাসবাদীর সংজ্ঞা নির্ধারিত হচ্ছিল ধর্মে ও শ্মশ্রুগুম্ফে। চায়ের পেয়ালার তুফানে বেরিয়ে পড়ছিল ভদ্র সুশিক্ষিত মানুষের নখদন্ত। জালালুদ্দিন রুমি বিস্মৃত হচ্ছিলেন।
Comments
Post a Comment