দিবসারম্ভে
সন্দীপদের পুরোনো কোয়ার্টারে গল্প হচ্ছিল শেষ দুপুরে - মায়া, সন্দীপ, রেণু আর আমি। ব্রিটিশ আমলের বাড়ি, বার কয়েক মেরামতির পরেও বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ । সমুদ্র কাছে হওয়ায়, বাতাসের নুনে ঘরদোর অকালেই বুড়িয়ে গেছে- মায়া আর সন্দীপ তাই বলে। আর সপ্তাহ দুইয়ের মধ্যে ওদের নতুন বাসায় চলে যাওয়ার কথা। এ' বাড়ির দেওয়ালের আস্তর খসেছে যত্র তত্র, সেখানেই ঠেসান দিয়ে ডাঁই করা কার্ডবোর্ডের বাক্স - বেশিরভাগই প্যাকিং টেপ দিয়ে আটকানো; কিছু এখনও হাঁ করে তাকিয়ে - গেরস্তালির আরো জিনিসপত্র ঢুকবে। বাক্সের ঘষায় ঘষায় দেওয়াল থেকে আরো চুন বালি ঝরছিল। এই সব দৃশ্য জীবনের অনিত্যতার কথা বলে। সে দিকে পিঠ ফিরিয়ে আমরা মোড়ায় বসেছিলাম। খাওয়া দাওয়ার পর যেমন হয়- হাতে হাতে জলের বোতল, ঈষৎ হলদে তেলোয় জোয়ান মৌরি দু এক কুচি সুপুরি, দুপুরের ঝিম, কথার পিঠে কথা- অগোছালো আর দিশাহীন, জানলার পর্দা ঠেলে বহিরাগত হাওয়া এসে উড়িয়ে নিয়ে যায়, কোথাও পৌঁছোনোর কথাই থাকে না যাদের । ব্যাকড্রপে দেওয়াল ঘড়ির কাঁটা সরে সরে যেতে থাকে, পেঁপে গাছের ছায়া অতিরিক্ত লম্বা হয়ে ঘরে ঢুকে যায় । - চার্লি চ্যাপলিন নাকি একবার চ্যাপলিন লুক অ্যালাইক কম্পি