হেমন্তে যেমন ঘটেছিল
একটা
মথ আটকে পড়েছে চলন্ত
গাড়িতে। প্রজাপতি নয়, মথ। গাড়িময়
উড়ছে। আমার কাছে আসতেই
ফুঁ দিলাম আলতো- রোমান হলিডেতে অড্রে হেপবার্ন
যেমন করে চুলের গুছি সরাচ্ছিল। অলকগুচ্ছ
- বাবা বলে। মথটা উইন্ডশিল্ডে
ধাক্কা খেয়ে আবার
উড়ে এলো আমার দিকে; খুব
কাছে চলে আসছিল, আবার ফুঁ
দিলেই গাড়ির
সামনের দিকে উড়ে যাচ্ছিল।
আবার আসছিল। যাচ্ছিল। পেন্ডুলামের মতো। যাচ্ছিল। আসছিল।
সময়কে কখনও
খুব ছোটো মনে হয়-
একটা বিন্দু। জাস্ট। চোখের সামনে সেই আবার বেজায় প্যাঁচানো আর লম্বা হয়ে
যেতে থাকে। এই ছিল একটা
মার্বল, তারপরেই ময়াল সাপ। মাথার ভিতর কেমন টলটল করে,
গুলিয়ে যায় সব যখন
লম্বা সময়, ছোটো সময়টাকে
গিলে নেয় আর আমি
জালার মতো একটা পেটের
ভেতর কাচের
গুলির নড়াচড়া দেখতে পাই - নিকষ কালো অন্ধকারের
মধ্যে একটা দুটো তিনটে
অনেক রঙ ঘুরে ঘুরে
বেড়ায়- আমার অস্থির
লাগে, মাথার চুল টানতে থাকি,
কান্না পায়। গড়িয়াহাটের ডাক্তারবাবু
আমাকে এই সব ডায়রির পাতায় লিখে রাখতে বলেন -তারিখ, সময় সমেত। কোনো
কোনো দিন লিখতে বসলে, আমার দিনক্ষণ সবপিছু
হঠতে থাকে, পিছিয়ে
পিছিয়ে ডায়রির পুরোনো সব এন্ট্রির মধ্যে
ঢুকে পড়ে লাইনগুলো; একটা
লেখার ওপর অন্য লেখা
চেপে বসে- নীল কালির
ওপর কালো কালি তার
ওপর সবুজ, লাল
কালির অক্ষর, শব্দ - জট পাকিয়ে যায়
সব। ডায়রির পাতা ছিঁড়ে দলা
পাকিয়ে মুখে ভরে খেতে
থাকি যেন সময়কে চিবুচ্ছি
তো চিবুচ্ছি। আর
তখনই চোয়াল ভাঙা হাই ওঠে - একটা দুটো পাঁচটা
- এই বড় বড়- মনে হয়, সেই কখন উঠেছিলাম
ঘুম থেকে, কত রাত হয়ে
গেল কে জানে- ধপাস
করে শুয়ে পড়ি, ঘামতে
থাকি খুব , মাথার ওপর পাখা ঘোরা
দেখি- সব ঘন্টা মিনিট,
সেকন্ড যেন সাপটে নিচ্ছে
বাতাস। বনবন করে ফ্যান
ঘুরতে থাকে আর পাক খেতে খেতে
সময়গুলো মণ্ড পাকিয়ে ক্যারম বোর্ডের স্ট্রাইকারের মতো হয়ে যায়,
যেন এক্ষুণি সব ঘুঁটিকে ছিটকে
দেবে- যেন একটা কিছু
ঘটবে- যেন আমি আবার
জন্মাব, একটু
একটু করে বড় হব; আবার
যেন স্কুলে ভর্তি হলাম, তারপর এই যেন কিন্ডারগার্টেন থেকে ফিরলাম। টলমল
করে পাশের ঘরে যাই, বারান্দায়
আসি, এ ঘরে ও
ঘরে হাঁটি আর হাঁটি, ফ্রিজ
খুলে রসগোল্লা খাই, মাটিতে রস
পড়ে , লাইন বেঁধে পিঁপড়ে
আসে, ঘুরে বেড়ায়, বিছানায়
উঠে বাবাকে কামড়ে দেয়। বাবা ককিয়ে
উঠলে মা কল্পনাদিকে ডাকে; কল্পনাদি
বাবাকে একহাতে তুলে, অন্যহাতে চাদর বদলায় আর
বাড়ি মাত করে-' আবার
রাত বিরেতে মিষ্টি খেয়েছ? খেয়েছ তো খেয়েছ , রস
পড়েছে দেখতে পাও নি?'
-না
পাই নি, ঘর অন্ধকার
ছিল।
"অসভ্য
মেয়ে কোথাকার" - মা চুলের মুঠি
টেনে ধরার আগেই দৌড়ে
বারান্দায় যাই, উল্টোদিকের ফ্ল্যাটের
বারান্দায় একটা পাখি বসে
আছে- মার্লিনস্পাইক হলের ম্যাগপাইটা, হুবহু-
বিয়াঙ্কা ক্যাস্টাফিওরের এমারেল্ড চুরি করেছিল। আবার
দৌড়ে ঘরে ঢুকি-" মা
আজ ভ্যারাইটি স্টোরে যাবে?"
-কেন?
-ঐ যে ফুলদানিটা দেখেছিলাম,
ওটা কিনে দেবে না?
-কোনটা?
-মার্লিনস্পাইক
হলের ফুলদানির মতো- নেস্টর টিউলিপ
সাজিয়ে রাখত।
-ফুলদানি
তো আছেই বাড়িতে। ফুল
এনে সাজা না।
- বাড়ির
ফুলদানি ভালো না। তুমি
তো বলেছিলে, কিনে দেবে। চলো
না আজ-
মার
চোখ আবার লাল লাল
হয়ে যায়-- " চুপ কর তো।
এক কথা শুধু।
আজ গড়িয়াহাট যেতে হবে- মনে
থাকে না কেন? "
আমি
পাশের ঘরে যাই। তাক
থেকে টিনটিনের বই নামাই। ফুলদানির
ছবিটা কেটে নিয়ে খাতার
পাতায় সাঁটি, পাশে লিখি - ওয়ান
পিস অনলি।
-কল্পনাদি,
এটা এনে দেবে ভ্যারাইটি
স্টোর থেকে?
কল্পনাদি
কোমরে হাত দিয়ে আমার
দিকে তাকিয়ে থাকে তারপর চেঁচায়-
"বৌদি, দেখো, আবার বই ছিঁড়েছে-"
২
আমি জানি, সেন্ট
হেলেনা দ্বীপ শুরু হয়েছে গড়িয়াহাট থেকে আর
আমাদের এই বাড়িটা লংউড
হাউজ। বাবা সর্বক্ষণ সরুখাটে
শুয়ে, সামনের চেয়ারে গম্ভীরমুখে ডাক্তারবাবু, নয়তো ওষুধের দোকানের
চঞ্চলদা- ইঞ্জেকশন দিচ্ছে, কিম্বা অক্সিজেন
মাস্ক পরাচ্ছে। ঘাম গড়াচ্ছে চঞ্চলদার
কপাল বেয়ে। শার্টের বগল জোড়া ঘামের
দাগ। এদিকে বাবার বুক অবধি বালাপোষ
টানা, মা'র পাতলা
চাদর, আর কল্পনাদি
তো রান্নাঘরের বাইরে এলেই গায়ে আঁচল
জড়ায়। অথচ আমার গরম
লাগে সর্বক্ষণ। আর চঞ্চলদার। ঘরময়
চঞ্চলদার ঘামের গন্ধ। আমার মতই গরম লাগে চঞ্চলদার, যেন কড়িকাঠ
থেকে একটা বিশাল ঝাড়লণ্ঠন
চঞ্চলদার ঘাড়ের কাছে নেমে এসেছে-
গনগনে মোমবাতি জ্বলছে সেখানে- একটা দুটো চারটে
পাঁচটা পঁচিশটা-তেইশ বাইশ ছাব্বিশ-
একটা
বই ছিল বাড়িতে - বড়
মাসি না পিসিমণির দেওয়া
- পাতায় পাতায় ছবি আর দু
লাইন করে লেখা। রঙীন
নয়, পেন্সিল স্কেচ। একটা ছবিতে, সেন্ট হেলেনায় পিছনে হাত দিয়ে নেপোলিয়ন
দাঁড়িয়ে, সামনে সমুদ্র। আর একটা ছবি - ঝাড়লণ্ঠনটা
ওখানেই ছিল - লংউড হাউজের ঘরে
নেপোলিয়ান শুয়ে, মশারির মতো একটা কিছু
টাঙানো, খাটের সামনেই একজন খুব চিন্তিত
মুখে বসে, ওদিকে ফায়ার
প্লেস আর একটা বেখাপ্পা
রকম ঝাড়লণ্ঠন খাট অবধি নেমে
এসেছে -
বইটা
হারিয়ে গিয়েছিল। সেদিন কলেজস্ট্রীটে টিনটিনের বাংলা অনুবাদের কালেকশন কিনতে গিয়ে আবার পেয়ে গেলাম; মিঠুদি , পাপুনমামা পুজোর সময় টাকা দিয়েছিল,
"ভালো জামাকাপড় দু এক সেট
কিনে রাখতে পারিস তো, বাইরে যখন
বেরোস, তখন এরকম আলুথালু
হয়ে না বেরোলেই পারিস।" ঐ
টাকা দিয়ে টিনটিন কিনলাম।
ফিরে আসছি, হঠাৎ
দেখি, ফুটপাথে
শুয়ে নেপোলিয়ান সমুদ্র দেখছে।
বই কিনে গার্গীর ফ্ল্যাটের
দরজায় বেল বাজালাম - ওর
কাছে রেখে যাব।
আবার টিনটিন কিনেছি দেখলেই মা চেঁচাবে। একটা
দুটো করে বাড়ি নিয়ে
যাব আস্তে আস্তে। বেল বাজিয়ে দাঁড়িয়ে
আছি তো আছিই। ফ্লোর
গুলিয়ে ফেললাম না কি? আবার
নেমে , এক তলা দু'
তলা তিনতলা গুণে গুণে উঠলাম। এবার
বেল বাজাতেই গার্গী মেসেজ করল- ' এভাবে হুটহাট আসিস না ছুটির
দিনে। ও বাড়িতে এখন।'
টিনটিনের সেটটা ফ্ল্যাটের দরজার সামনে রেখে
নেপোলিয়নের বই নিয়ে বাড়ি
ফিরলাম।
"আজ
যে দেখি মোটে একটা
বই। ও বৌদি, ওষুধে
কাজ হচ্ছে গো"- কল্পনাদি দরজা খুলেই চেঁচিয়ে
বলল মা কে।
-মা,
আজ বিকেলে যাবে ফুলদানি কিনতে?
-উফ
আবার এক কথা, ফুলদানি
ফুলদানি আর ফুলদানি- কী
করবি এত ফুলদানি?
- মার্লিনস্পাইক
হলের মতো সাজাবো। কেন
তুমি চাও না?
- না
চাই না। এ’বাড়িতে মন টেঁকে না
তোমার!
- মার্লিনস্পাইকের
ঘরগুলো কী সুন্দর। বড়
বড় কাচের
জানলা- অনেক রোদ ঢোকে। কত
কত ঘর, গোলাপবাগান, কত
আনন্দ মা। সব ঘরে
আনন্দ। নেস্টর আছে,
হ্যাডক, বিয়াংকা, প্রফেসর ক্যালকুলাস , টিনটিন, স্নোয়ি। ওমা, মা একটা
কুকুর পুষবে?
-উফ,
আর পারি না। চুপ
কর একটু।
" কই
কী বই কিনলি আজ,
দেখালি না?" বাবা ডাকল। বাবার
খাটে উঠে বসে নেপোলিয়ানের
বইটা খুললাম- “ আজ
কেমন আছ? সেরে উঠলে
পুরী যাবে? হ্যাঁ?”
অমনি
ফুঁপিয়ে উঠল বাবা।
" ধুলোপায়ে
বিছানায় উঠে বাবাকে বিরক্ত
না করলে চলছিল না? স্নান
করে খেয়ে নাও। ভালো
করে স্নান করবে। বোঁটকা গন্ধ বেরোচ্ছে গা
থেকে" কল্পনাদি চেঁচালো।
- যাচ্ছি,
একটু পরে। কাঁদছ কেন
বাবা?
বাবা
হু হু করে কেঁদে
চলল। মনে হল সানাই
বাজছে। আর বেহালা। শিবরঞ্জনী মনে হচ্ছিল।
-কটা
বাজলো সে খেয়াল আছে?
তোমার জন্য সবাই না
খেয়ে আছে। এখনই স্নান
করো।
-তোমরা
খেয়ে নাও। আমি বাবাকে
বই পড়ে শোনাবো।
কল্পনাদি
তো নেস্টর নয়, কোমরে আঁচল
জড়িয়ে হাত ধরে টানল
আমার। কল্পনাদিকে এক ধাক্কায় ফেলে
দিয়ে লংউড হাউজ থেকে
বেরিয়ে গেলাম আমি।
৩
ঘুলঘুলি
দিয়ে ভোরের আলো তেরছা হয়ে
ঢুকছিল, ঘর দোর, দেওয়ালের
রং, আসবাব, ক্যালেন্ডারের তারিখ স্পষ্ট হচ্ছিল ক্রমশ। ওদিকের সরু খাটে বাবা
হাঁ করে ঘুমোচ্ছে- হাল্কা
নাক ডাকার শব্দ আর পেডেস্টাল
ফ্যানের আওয়াজ বেড়াল বাচ্চার মতো সারা ঘরে
ঘুরছে। আমার
ডানদিকে মা পাশ ফিরল
এই মাত্র। উঠে বসে বিছানার
চাদরে হাত বোলালাম- শুকনো
, রক্তহীন, নীল সাদা ফুল
ফুল প্রিন্ট। সবাই বেঁচে আছি।
কাল
ভয়ের স্বপ্ন দেখেছি সারারাত। একটার পর একটা ছোটো
ছোটো ছবি আসছিল, সাদা
বর্ডার- কমিক স্ট্রীপের মতো।
অবিচ্ছিন্ন, কদাকার,
কখনও ঝাপসা সব দৃশ্য- আমার
মনে হচ্ছিল,
রাতের দিকে কেউ
মারা গিয়েছে এই বাড়িতে, অনেক
ফুল, সাদা গোলাপী ফুল
বেঁকে চুরে ধুপের ধোঁয়া
হয়ে দুপুরের দিকে যাচ্ছিল।
আসলে,
দুপুরে লংউড হাউজ থেকে
চঞ্চলদার দোকানে গিয়েছিলাম। একটা ছোটো সাদা
ডেস্কফ্যানের সামনে বসে ঘামতে ঘামতে
কাগজপত্র দেখছিল।
-কী
হয়েছে রে?
-এখনই
চলো, বাবাকে
ইঞ্জেকশন দিতে হবে -
-সকালে
তো সব চেক করে
এলাম। ইঞ্জেকশন আবার পরশু। আজ
নয়।
-আমি
জানি না। বাবার খুব
কষ্ট হচ্ছে, এখনই চলো।
-ওষুধ
দেওয়া আছে, কাকিমা জানেন।
তুই বাড়ি যা-
- না
এখনই যেতে হবে-
- আরে,
সেরকম দরকার হলে কাকিমাই তো
ফোন করতেন। তুই এখন বাড়ি
যা। আমিও দোকান বন্ধ
করব। খেতে যাব বাড়িতে-
- এক্ষুণি চলো।
নইলে বাবা মরে যাবে-
- আচ্ছা
বিকেলে দোকান খোলার আগে ঘুরে যাবো,
ঠিক আছে?
" এখনই
আসতে হবে এখনই" কল্পনাদির
কায়দায় চঞ্চলদার হাত ধরে টান
দিই।
-কী
করছিস কী, ছাড়!
- না
ছাড়ব না- বাবাকে মেরে
ফেলতে চাও? নেপোলিয়ান পেয়েছ
বাবাকে?
-ছাড়
আমাকে। যাব তো বললাম-
- এক্ষুণি
যেতে হবে এক্ষুণি;
চলো, চলো শিগ্গির-
চঞ্চলদা
আমাকে ঠেলে দিতে
গেলে কামড়ে ধরি চঞ্চলদার হাত।
ছোটো ফ্যানের হাওয়া টেনে নিতে থাকে
আমার দুপুর
সকাল বিকেল- লাল সাদা লাল
সাদা স্নোয়ি স্নোয়ি-
রাতের
দিকে পুলিশ এল বাড়িতে, পাড়ার
লোকজন। সবাই চেঁচামেচি করে
চলে গেলে গড়িয়াহাটের
ডাক্তারবাবুকে ফোন করল মা।
তারপর কল্পনাদিকে বলল, আলমারির মাথা
থেকে সুটকেশ নামাতে। কল্পনাদি মোড়ায় উঠে সুটকেশ পাড়ছিল-
"এইটা না বড় কালোটা
নামাবো, বৌদি?"
-পুরী যাব? একটা
সুটকেশে হবে না তো-
ও মা?"
ঘর জুড়ে সানাই আর
বেহালা বাজছিল তখন -মারু বেহাগ।
একটা মথ উড়ে এসে
দেওয়ালে বসল, ছিটছিট টিকটিকিটা
ওঁৎ পাতল ক্যালেন্ডারের নিচে
- নভেম্বর লেখা খোপকাটা পাতা
হাওয়ায় উড়ছিল। কী বার? কোন
ইয়ার এটা?
- ও
মা মা, আজ কত
তারিখ গো?
-চুপ
কর, একটু চুপ কর।
আর তো পারি না
ভগবান-
একটা
গাড়ি করে কোথায় যেন
যাচ্ছি এখন -পিছনের সীটে
আমি আর সুটকেশ। বাইরে
দেখছিলাম। গড়িয়াহাটের রাস্তা নয়। শহরের বাইরে
কোথাও। ঘোড়া চরছিল ধু ধু প্রান্তরে।
আকাশের এক কোণায় ঘন নীল মেঘ উঠে আসছে- গাড়ির ভিতর থেকে তাদের পাহাড়ের মতো লাগে।
জানলার কাচ নামাতে একটা
ছোটো প্রজাপতি ঢুকে পড়ল - প্রজাপতি
না মথ।
-কোথায়
যাচ্ছি?
-"এই
তো এসে গেছি, তোমার
নতুন বাড়ি, সামনে দেখো" কে যেন বলল
ড্রাইভারের পাশের সীট থেকে। মথটা
আমার কাঁধে এসে বসেছে এখন। বসুক।
বাইরে
সন্ধ্যা নামছিল না কি কুয়াশা
। গাড়ির কাচে জলীয় বাষ্পর ঘনীভবন শুরু হয়েছে। লাল
মোরামের পথ দেখতে পাচ্ছিলাম।
দুদিকের গাছে পাতাদের রং লালচে বাদামি। হলুদ ঝরা পাতা
ডাঁই হয়ে আছে মাটিতে । ডাইনে মোড় নিতেই লোহার উঁচু গেট, পাঁচিল, বিশাল
বাড়ি -পর পর কাচের
জানলা, পর্দাটানা, ফ্রেঞ্চ রুফের গড়ান ঢালুর দিকে। আমার
চেনা সব। এরপর
একটা রোজ গার্ডেন আসবে , তারপরেই আরেকটা গেট- গাড়ি
ঢুকবে। মা জানে
আমি এখানে আসছি? গরম
জামা দিয়েছে তো সঙ্গে? সুটকেশ
খুলে সোয়েটার খুঁজছিলাম।
Comments
Post a Comment