চরাচরের পাখিরা
এই সব বিকেলে ক্রিকেটম্যাচের শেষটুকু না দেখে চলে যাওয়া অসমীচীন; যখন রোদ পড়ে আসে, ছায়া দীর্ঘ এবং পূর্বগামী, সঙ্গী বলতে খুচরো কিছু বিষণ্ণতা আর দুশ্চিন্তা, সেই সময়ে পাড়ার মাঠে খেলা চলতে দেখলে, দাঁড়িয়ে পড়েছি। বরাবর। পাড়ার না বেপাড়ার দল, রাউন্ড রবিন না নক আউট , সেমিফাইনাল না কি ফাইনাল জানার প্রয়োজন বোধ করি নি। স্রেফ দাঁড়িয়ে গিয়েছি। ম্যাচের শেষ ওভার যেন এক এসকেপ রুট খুলে দেয়। হয়তো পরপর বাউন্ডারি অথবা সিক্সার, হয়তো একটা রান আউট, কিংবা লং অনের ওপর লোপ্পা ক্যাচ আর তারপরেই খেলোয়াড় আর সমর্থকদের লাফিয়ে ওঠা, স্টাম্প খুলে নিয়ে মাঠময় দৌড়োতে থাকা - এই সব দৃশ্য এবং মুহূর্তরা অকারণ উত্তেজনা আর আনন্দের সঞ্চার করে, স্যাঁতস্যাঁতে অনুজ্জ্বল সন্ধ্যার প্রাক্কালে যাকে অভাবিত লাগে তখন। আজ এখন সেই রকমই কিছু ঘটছিল। বড় রাস্তায় বাস থেকে নেমে তরুণ সঙ্ঘের দিকে হাঁটতে হাঁটতে একটা মাঠের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েছি। আসলে, মিতুলদি উবের বা হলুদ ট্যাক্সি নিতে বারণ করেছিল- " অত টাকা ট্যাক্সি কম্পানিকে দেওয়ার কোনো মানে হয়? এখন বুঝবি না, বয়স হলে, অসুখে বিসুখে টাকার মূল্য বোঝা যায়। আর তুই জোয়ান ছেলে- এত বাবুগিরিই বা