কল্প

ফুলশয্যার রাত অবধি অহনার ধারণা ছিল, সব বাড়িরই নিজস্ব কিছু পুরোনো গল্প আছে। প্রাচীন বালাপোষ আর জরিপাড় শাড়ির সঙ্গে সেইসব কাহিনী মথবল দিয়ে তুলে রাখা থাকে। তারপর যেদিন আত্মীয় বন্ধু বহু বৎসর পরে একত্রিত- হয়ত বিবাহ, কিম্বা অন্নপ্রাশন, অথবা শ্রাদ্ধবাসর- সেই সব গল্পকথা আলমারির অগম সব কোণ থেকে আলগোছে বের করে এনে রোদে দেওয়া হয়। এমনি করে, প্রপিতামহর খুল্লতাত অথবা অতিবৃদ্ধ মাতামহীর পিতৃশ্বসাপতির একটি দুটি আখ্যান , ব্রোকেন টেলিফোন খেলায় যেমন হয় আর কি- মুখে মুখে ফেরে আর একটু একটু করে বদলে যেতে থাকে। আসলে, অহনা এরকম কিছু গল্প শুনে বড় হয়েছে; প্রপিতামহ , অতিবৃদ্ধ মাতামহী অথবা পিতৃশ্বসাপতি শব্দগুলি এবং পুরোনো ভারি অলঙ্কারের মত সরোজিনী, বা নীলাম্বর অথবা সরসীবালা নামের প্রতি প্রগাঢ় মায়াও তার আশৈশব। বস্তুত, অহনার নিতান্ত বাল্যকালে, পিতৃপক্ষে,তার জ্যেষ্ঠতাত বাড়িতেই তর্পণের আয়োজন করলে, অহনা ঘুম ঘুম চোখে, সেইখানে গিয়ে বসত। আশ্বিনের সেই সব ভোর-তাদের বড় ঘরের লাল মেঝে- কোশাকুশি তাম্রপত্র-জ্যেষ্ঠতাতর গরদের ধুতি চাদর কপালে চন্দন আঙুলে কুশের আংটি- এতৎ সতিল-গঙ্গোদকং , তৃপ্তিমখিলাং যাস্তু ,অগ্নিদগ্ধাশ্চ যে জীবা - রহস্যময় সে সকল শব্দ…প্রতিটি কথা , সমস্ত পুরাতন নাম, প্রাচীন সম্পর্ক নিজের মনে, নিজের স্বপ্নে ঢুকিয়ে নিত বালিকা; অবসরে , ঘুমে, শব্দগুলির সর্বাঙ্গে হাত বোলাত পরম মমতায়-

অহনাদের বাড়িতে, যে দু তিনটি গল্পকথা ঘুরে ফিরে বেড়াত- নবীন জামাতা , নববধূ বা নবলব্ধ কুটুম্বকে শোনানো হ'ত, তার মধ্যে দুটি কাহিনী তার প্রিয় ছিলঃ অহনার প্রপিতামহীর কোনো খুল্লতাত সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাসী হয়ে গিয়েছিলেন -গল্পে তিনি সন্ন্যাসীদাদু। বলা হ'ত, সন্ন্যাসীদাদু নাকি এখনও তাঁর বংশধরদের দেখা দেন - গৃহস্থের দরজায় দাঁড়িয়ে হাঁক দেন সন্ন্যাসী-হাতে দন্ড, কমন্ডলু, মাথায় পাগড়ি, শরীরে দিব্যাভা- দু দন্ড বসেন , তারপর আশীর্বচন আউড়ে স্রেফ হাওয়ায় মিলিয়ে যান। বস্তুত অহনার ঠাকুমার পুজোর ঘরে সেই সন্ন্যাসীর একটি ছবি ছিল-ফ্রেমে বাঁধানো হলদেটে ছবিতে পাহাড়ি নদী গাছ ঘরবাড়ি দেখা যেত - সামনে তিনি হাতে লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে। ছবিটি অহনার খুব প্রাচীন মনে হত না। সে কথা বললে, ঠাকুমা দুই হাত জোড় ক'রে মাথায় ঠেকিয়ে বলত -'হ্যার বয়স বাড়ে না'। অহনা বিশ্বাস করত না কিন্তু গল্পটা ওর ভালো লাগত; ছবির সঙ্গে গল্প বা গল্পের সঙ্গে ছবি মেলাতে চাইত। ছবিখানি কবে কে কোথায় তুলেছিল, সে ছবি ঠাকুমার কাছে কি করে এল তা নিয়েও এযাবৎ অচরিতার্থ কৌতূহল অহনার।
সন্ন্যাসী দাদুর গল্প ব্যতীত বৃদ্ধপ্রপিতামহী হিরণ্যপ্রভার কাহিনী অহনার অতীব প্রিয় ছিল। শোনা যায়, হিরণ্যপ্রভা চিত্র রচনায় সবিশেষ পটু ছিলেন- গৃহস্থালির সমস্ত কাজের মধ্যেও উঠান, তুলসী মঞ্চ, গৃহের মৃৎপাত্রগুলিতে তিনি নিরন্তর ছবি এঁকে চলতেন- অঙ্কনকালে শত ডাকেও সাড়া দিতেন না। একদা দ্বিপ্রহরে পুরুষেরা ভোজনে রত, মেয়েরা সন্তানের পরিচর্যায় অথবা রন্ধনে কিম্বা পরিবেশনে ব্যস্ত - বেলা অনেক, অথচ সেদিন তখনও তাদের স্নানও সারা হয় নি-সেই সময় উঠোনে এক বিশাল হাতি এসে দাঁড়িয়েছিল। হাতির সর্বাঙ্গে অলংকরণ, হাওদাটি সুসজ্জিত। উঠোনে দাঁড়িয়ে মাহুতবিহীন সুবৃহৎ সে হাতি বৃংহণ করেছিল। সেই ধ্বনিতে, রন্ধনকক্ষ থেকে হিরণ্যপ্রভা বেরিয়ে এলে, হাতিটি হাঁটু মুড়ে বসে এবং হিরণ্যপ্রভা কোনোদিকে না তাকিয়ে হস্তীপৃষ্ঠের সুসজ্জিত হাওদায় অধিষ্ঠিতা হ'ন। কথিত আছে, সে সময় তাঁর ঘোমটা খসে পড়েছিল- রুক্ষ কেশদাম মধ্যাহ্ন সূর্যের আলোয় মুকুটের মত দেখাচ্ছিল।সেই প্রখর রৌদ্রের মধ্যে, হাতিটি তাঁকে পিঠে নিয়ে মিলিয়ে যায়। হিরণ্যপ্রভা আর ফিরে আসেন নি।
এই গল্পদুটি, কলেজজীবনে অহনা ওর প্রাণের বন্ধু শাল্মলীকে বললে, শাল্মলীও অনুরূপ কিছু ঘটনা শোনায়- যেমন, কোনো কালে, শাল্মলীর মামার বাড়ির দিকের এক বাল্যবিধবা গভীর রাতে নির্জন ছাদে , দু হাত আকাশে তুলে আপন মনে ঘুরে ঘুরে নেচে চলত; তারপর এক জ্যোৎস্নারাতে সে ডানা মেলে উড়ে গিয়েছিল। শাল্মলী তার নাম বলতে পারে নি।
অহনা বলেছিল, 'নাম না থাকলে, গল্প ভালো লাগে না। ওর নাম আমার সঙ্গে মিলিয়ে রাখি ? অঙ্গনা ?'
-'ঠিক। অনাম্নী অঙ্গনা'। শাল্মলী হেসেছিল।
বস্তুতঃ এই সব প্রাচীন কাহিনীর আদানপ্রদান অহনার প্রিয় ছিল। নতুন আত্মীয় পরিজন, নবলব্ধ বন্ধুদের এই গল্প শোনানো সে বাধ্যতামূলক মনে করত-যেন এ গল্প না শোনালে তার পরিচয় দেওয়া অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
অতএব, অহনা যে ফুলশয্যায় তার নবীন স্বামীটিকে সন্ন্যাসীদাদু অথবা হিরণ্যপ্রভার কাহিনী বলবে এতে আশ্চর্যের কিছু ছিল না। গল্প শেষ করে সমরের পরিবারের অনুরূপ প্রাচীন কোনো গল্প শুনতে চেয়েছিল অহনা। সমর বলেছিল, 'তোমার মত গল্প শোনার টাইম আমার ছিল না। গল্প ঠল্প কিছু নেই আমাদের। ' তারপর মিলনে প্রবৃত্ত হয়েছিল।
অহনার শ্বশুরমশাই বহুদিন গত, শাশুড়ী পক্ষাঘাতগ্রস্ত- প্রাচীন কোনো কাহিনী জানা থাকলেও তা বলার ক্ষমতা তাঁর ছিল না। সমরের বাড়ির চিলেকোঠায়, খাটের তলার প্রাচীন তোরঙ্গে কোনো প্রাচীন অক্ষর সে খুঁজে পায় নি গত এক বছরে। কেবল, সমরের মামাবাড়িতে প্রণাম করতে গিয়ে , ঠাকুরঘরে আলমারির মাথার ওপরে নীল মার্কিন কাপড়ের ঢাকনা দেওয়া এক বাদ্যযন্ত্র দেখেছিল।
অহনা বলেছিল, 'এস্রাজ? কে বাজায়?'
সমর আশ্চর্যরকম কঠিন মুখ করে বলেছিল, 'বাজাতো। আমার ছোটোমাসি। ' তার যে কোনো মাসিশাশুড়ি আছেন তাই জানতনা অহনা-সে অবাক হয়ে তাকালে, সমর বলেছিল-'হারিয়ে গেছে'।
-'কেমন করে? ' অহনা জিগ্যেস করেছিল। এই প্রথম সমরের পরিবারে সে একটি গল্পের খোঁজ পাচ্ছিল।
সমর বলেছিল-'জানি না। হারিয়ে গেছে, ব্যাস।তোমাদের মত হাতী ঘোড়ার গল্প আমাদের নেই।'
-'কি নাম ছিল ছোটোমাসির?'
সমর মুখ শক্ত করে বলেছিল-'অনু'।
অনু কি অনুরাধা না অনুশ্রী না অনুমিতা , অনন্যা অথবা অঙ্গনা-এই সব জিজ্ঞেস করার ইচ্ছে হয়েছিল অহনার। সমরের মুখের ভাব দেখে সে আর কথা বাড়ায় নি।

ডিসেম্বরের শেষে , সমরের কিছু কাজ পড়ল সিউড়িতে। অহনা শান্তিনিকেতন যাবে কি না জানতে চাইলে , সে এক কথায় রাজি হল। ছোটোবেলায় একবার শান্তিনিকেতন যাওয়া ঠিক হয়েও ওর চিকেন পক্স হওয়ায় সব পন্ড হয়েছিল। পরবর্তীকালেও , সঙ্গীতবিদ্যা শিক্ষা ও চর্চার জন্য অহনা সেখানে যেতে চেয়েছিল। অহনার গলায় সুর ছিল-সে ভালো গাইত। কিন্তু ততদিনে সমরের সঙ্গে অহনার বিবাহ স্থির- পিতৃদেব এক কথায় অহনার ইচ্ছেয় না বলেছিলেন। এত বছর পরে, ডিসেম্বরের রাতে, আবার শান্তিনিকেতনের কথা উঠল। অফিস থেকে ফেরত সমর সবিশেষ উত্তেজিত ছিল সেদিন। বলছিল, শান্তিনিকেতনে ওর বন্ধুর বাড়ি, সেখানে থাকা যাবে, হোটেল ফোটেলের বুকিং এর দরকার হবে না।

সিউড়ির কাজ শেষ করে সমর যখন অহনাকে নিয়ে বোলপুর এলো, তখন ভাঙামেলা। মেলার মাঠে তবুও ভীড়, নাগরদোলা, টুরিস্ট বাস, শালপাতা । ওরা দুপুরে খানিক ঘুরল। বাটিকের ব্লাউজপিস, পোড়ামাটির গয়না, আপেলবীচির মালা -এইসব টুকটাক দরাদরি করছিল অহনা।
সেদিন সন্ধ্যায় খ্রীষ্টোৎসব। বিকেল বিকেল কাচঘরের বারান্দায় বসতে না পারলে, হিমে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে বাইরে-সমরের বন্ধুর বাড়ি থেকে জানা গিয়েছিল। সেইমত, বিকেল পড়তেই, ওরা কাচঘরের দরজার গোড়ায় শতরঞ্জিতে বসে পড়ে। ভেতরে তখনও সাজসজ্জা ও বৈদ্যুতিক সংযোগের কিছু কাজ চলছিল। ভীড় ক্রমে বাড়ছিল। ঘর ছাপিয়ে সিঁড়ি, সিঁড়ি ছাপিয়ে রাস্তা অবধিও মানুষজন। চাদর, জহর কোট, সোয়েটার, জ্যাকেট। আলো কমে আসছিল, হিমভাব বাড়ছিল। কাচঘরের ভেতরে গায়ক গায়িকারা সমবেত-একাধিক তানপুরার শীর্ষদন্ড দেখা যাচ্ছিল। সমর উসখুস করছিল-একবার বলছিল-বাথরুমে যেতে হবে, একবার বলছিল, ঠান্ডা লাগছে, টুপি আনতে হবে, আবার সিগারেট খাওয়ার জন্য ছটফট করছিল-ভিতরে উঁকি দিচ্ছিল-বাইরে তাকাচ্ছিল-তার মুখে রাগ আর অসহায়তা দেখছিল অহনা।
-'কী শালা ফেঁসে গেলাম এখানে। এই ঠান্ডায় এই সব কাঁদুনি শুনতে হবে এতক্ষণ। শুরু হবে কখন তাও তো বুঝছি না।'
অহনার অস্বস্তি হচ্ছিল। বলল-'এক্ষুণি হবে, দেখো না , সবাই এসে গেছে।'
সমর ওর কনুই টেনে বলল-'চলো ফিরে যাই। লেপের তলায় ঢুকে যাবো সোজা'। বলে সামান্য চোখ মারল অহনাকে।
অহনা বলল, 'এক্ষুণি শুরু হবে। একটু বসো। আর হয়তো কোনদিন আসাও হবে না'।
-'যাবে না কি ক্রন্দনসঙ্গীত শুনবে? আমি চললাম।' সমর ওর হাত ধরে হ্যাঁচকা টান দেয়। তারপর বেরিয়ে যায়। অহনাও সমরের অনুগামী হয়ে উঠে দাঁড়ায়, হাতের ব্যাগ তুলে নিয়ে, শাড়ি, শাল গুছিয়ে , বেরিয়ে আসার পথ খোঁজে। ঠিক তখন কাচঘরে সমস্ত তানপুরার একসঙ্গে সুর মেলানো শুরু হয়। শীত না কি আকস্মিকতা- অহনা আমূল কেঁপে উঠে আবার বসে পড়ে। সে যেখানে বসেছিল, সেখান থেকে কাচঘরের ঝাড়লন্ঠন দেখা যাচ্ছিল আর তানপুরার শীর্ষগুলি- কখনও হাতের আঙুল-সুর বাঁধছে। অহনার মনে হ'ল, সে যেন এক অলীক কক্ষের দোরগোড়ায় -যেখানে কেবল সুর ভেসে বেড়াচ্ছে - একটি তানপুরার সুর যেন অন্য তানপুরা তুলে নিচ্ছে, তারপর আর একটি তানপুরা , সেখান থেকে আর একটি। শেষ তানপুরাটি থেকে বেরিয়ে একলা সুর অতঃপর যেন ওপরে উঠছে, ঝাড়লন্ঠন ছুঁয়ে ভেসে ভেসে অহনার কাছে আসছে, এরপর সুরে সুরে জড়িয়ে ঈষৎ ভারি হয়ে নিচে নামছে, আবার উঠছে।
ধুপের ধোঁয়ার মত সুরের এই চলাচল অহনাকে ঘিরে ফেলছিল। এক মায়াবরণ যেন অহনার শ্রুতি দৃষ্টি আর মননে জড়িয়ে যাচ্ছিল- আবরণ সরালেই যেন এক অভূতপূর্ব মুহূর্তের সম্মুখীন হবে সে -এরকম তার মনে হচ্ছিল। সমর এসে আবার ওর পাশে বসতে পারে, নাও পারে-অহনার তা নিয়ে আর কোনো দুশ্চিন্তা ছিল না-সমরের কথা অমান্য করার জন্য কোনো ভয় কাজ করছিল না আর- বরং ওর মন সমর, তাদের মিল, তাদের অমিলগুলি পেরিয়ে যাচ্ছিল দ্রুত- ঘর দোর সংসার অস্পষ্ট হচ্ছিল। ওর মনে হচ্ছিল, সম্ভবতঃ এই সেই মুহূর্ত-যখন মানুষ হারিয়ে যায় , হয়ত ডানা মেলে উড়ে যায় ভরা জ্যোৎস্নায়। সে ভাবছিল এবং ক্রমশঃ বিশ্বাস করছিল। অহনার মনে হচ্ছিল, কিছু একটা ঘটবে, খুব বড় কিছু, ঠিক কী ঘটবে সে জানে না, কিন্তু তার জন্য আনন্দিতচিত্তে অপেক্ষা করতে পারবে। অহনা কাঁপছিল, ওর চোখে জল আসছিল, দু হাত জড়ো করে এই মুহূর্তটিকে সে আগলে রাখতে চাইছিল আর সমস্ত শরীর দিয়ে এই অপরূপ সুর মেলানো অনুভব করছিল, শুষে নিচ্ছিল।
গান শুরু হয়ে গিয়েছিল। আচার্য কিছু বলছিলেন। হিম মাথায় নিয়ে অজস্র মানুষ বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। মোমবাতি জ্বলছিল। মেলার মাঠে সম্ভবতঃ বাজি পোড়ানো চলছিল। আকাশে একটি আলোক বিন্দু সহস্র আলোক বিন্দু হয়ে ছড়িয়ে পড়ছিল- গাঢ় বেগুণী আকাশে আলোর কণাগুলি কখনও সিংহের কেশর , কখনও সুবৃহৎ অগ্নিপুষ্পর পরাগরেণু তৈরি করছিল, তারপর ছাই হয়ে ঝরে পড়ছিল হিমভেজা মাঠে।

সেই সময়, বল্লভপুরের হরিণের বন পেরিয়ে এক বিশাল গজরাজ আম্রকুঞ্জের দিকে ধাবিত । সে ঐরাবতের সর্বাঙ্গে অলংকরণ, পৃষ্ঠে সুসজ্জিত হাওদা।

Comments

  1. The protagonist lives in her imaginary world, may be a smokescreen to hide from the world. The story highlights her confused psyche; her mind wants to escape the reality. But why???

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

চরাচরের পাখিরা

কোলক্লিফ, ২০২৩

সলস্টিস