কে জানে ক ঘন্টা
বিবিধ প্রকরণ
সকাল থেকে মাথায় ঘুরছে
তন্নিষ্ঠ শব্দটা
বলা নেই কওয়া নেই
কোথা থেকে এলো
যাবেই বা কোথায়
এই সব ভাবতেই
তন্নিষ্ঠ আউট
বিবিধ প্রকরণ ইন
কি মনে হয় বলুনতো?
জানেন আপনি
শব্দগুলো আদৌ সমান্তরাল নয়
৩০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে পরস্পর ছুঁয়েছে।
এখনও বুঝলেন না
কি বলতে চাই?
ট্র্যান্স্লেশনের খাতা
নয়।
জ্যামিতির বই ও নয়।
এ যদি আমার প্রেমপত্র হয়,
তাড়িয়ে দেবেন?
হ্যানসেল
তোর কাছে এসেছি
আগুন জ্বালাবো বলে।
চকমকি পাথরগুলি
দুই পকেট ভরে নিয়ে
বদলে রাস্তায় ছড়িয়ে দিয়েছি
ছেঁড়া রুটি গুঁড়ো গুঁড়ো
পাখিরা উড়ে এসে খেয়ে যাক
কোনো চিহ্ন যেন না থাকে
আগুন নিভে গেলে
ছাইগাদায় কুকুরকুন্ডলী
রোঁয়াওঠা ধুলোবালি
ছেঁড়া কম্বল
ভঙ্গুর মাটির ভাঁড়ে পিপাসার জল-
ফিরে যাব বলে তো আসি নি এখানে।
আল্ট্রা ভায়োলেট
সূর্যের হাত খুব লম্বা
আকাশ থেকে ছুঁয়ে দিচ্ছে
তোমার বারান্দা, ক্যাকটাস, বসবার মোড়া, এলো চুল-
তোমার বুকের ওপর শুধু ছায়াটুকু-
তুমি রেলিংএ হাত রেখে -
ঘাড় ঝুঁকিয়ে ডাকলে-জিমি জনি গ্লসি ফ্লসিইইই-
তোমার প্রশ্রয়টুকু বুঝে নিয়ে
সরলরেখায় রোদ নামল তোমার গলায়, চিবুকে-
তারপর ঠোঁট ছুঁতে গিয়ে দেখলো
তোমার হাত বাইছে একবিন্দু পিঁপড়ে -
কালো ও তুমুল আলাভোলা-
তোমার শরীরভরা রোদ পেরিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে ছায়ায়
পিঁপড়ে
এই সব শীতকাল
চড়ুইভাতি
নৌকোবিলাস
এ সকলই পরজন্মকথা
পেয়েছি
পিঁপড়ে জন্ম
খুঁটে খাওয়া
কুটুস কামড়
পিষে মরা।
উল
বেড়ালছানারা খেলা করে
ক্রমাগত
স্বপ্নের ভেতরে
রামধনু রঙের মত তিনটে বেড়াল
ওঠে নামে খেলা করে
কয়লার গাদায়
কাছে এলে দেখা যায়
আলো নয় রং নয়
উলের সূতোয়
জড়ানো রয়েছে সব
বেড়ালের ছানা।
লাটাই খুঁজতে গিয়ে
উল্টো সোজা হাতে বোনা
ছেঁড়া খোঁড়া উলের ব্লাউজ
গোঁজা দেখি কয়লার গাদায়।
কুসুমের মাস
রূপকথা
শেষ হয়
এবারের মত
পুনরায়
প্রতীক্ষাকাল
যদিও ফেব্রুয়ারি
বসন্ত জাগ্রত-
তথাপি
সিনানশেষে
আবহমান
এলোচুল রোদ ব্যালকনি
সকাল
কুয়াশাঘন
বিষাদবাষ্পে
তবু গ্লিসারিনই
পৌঁছয়
ঠোঁট ছুঁয়ে
কমলা কোয়ায়।
বৈমেলা
সহসা যেন
অগম বিজন
রাতের শিশিরস্নানে
মরে আছে
শেষদুটি
বেগুনী কাঞ্চন।
অস্থির দুপুর
জুড়ে
কবুতরডাক-
খড়খড়ি
আলোছায়া
বাতাস অলীক
স্পর্শ করে
ক্যালেনডার স্থবির
অন্তহীন জানুআরি
নির্বাসনে যায়
আধোঘুমে
জেগে থাকে মাস ডিসেম্বর।
চেনা কাক
দেরি হবে আজ- এতো জানাই।
শয্যার মল্লিকাকুসুম
রজনীগন্ধার মালাদুটি
চন্দনের সাজ
কতদিন পর আবার এসব
গুছিয়ে আসতে
সময় লাগবে বৈকি
কাক বসে আছে ছাদের আলসেয়
চেনা কাক
থাক বসে
অপেক্ষায়
আজ কিছু দেরিতে প্রাতরাশ হবে।
সকাল থেকে মাথায় ঘুরছে
তন্নিষ্ঠ শব্দটা
বলা নেই কওয়া নেই
কোথা থেকে এলো
যাবেই বা কোথায়
এই সব ভাবতেই
তন্নিষ্ঠ আউট
বিবিধ প্রকরণ ইন
কি মনে হয় বলুনতো?
জানেন আপনি
শব্দগুলো আদৌ সমান্তরাল নয়
৩০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে পরস্পর ছুঁয়েছে।
এখনও বুঝলেন না
কি বলতে চাই?
ট্র্যান্স্লেশনের খাতা
নয়।
জ্যামিতির বই ও নয়।
এ যদি আমার প্রেমপত্র হয়,
তাড়িয়ে দেবেন?
হ্যানসেল
তোর কাছে এসেছি
আগুন জ্বালাবো বলে।
চকমকি পাথরগুলি
দুই পকেট ভরে নিয়ে
বদলে রাস্তায় ছড়িয়ে দিয়েছি
ছেঁড়া রুটি গুঁড়ো গুঁড়ো
পাখিরা উড়ে এসে খেয়ে যাক
কোনো চিহ্ন যেন না থাকে
আগুন নিভে গেলে
ছাইগাদায় কুকুরকুন্ডলী
রোঁয়াওঠা ধুলোবালি
ছেঁড়া কম্বল
ভঙ্গুর মাটির ভাঁড়ে পিপাসার জল-
ফিরে যাব বলে তো আসি নি এখানে।
আল্ট্রা ভায়োলেট
সূর্যের হাত খুব লম্বা
আকাশ থেকে ছুঁয়ে দিচ্ছে
তোমার বারান্দা, ক্যাকটাস, বসবার মোড়া, এলো চুল-
তোমার বুকের ওপর শুধু ছায়াটুকু-
তুমি রেলিংএ হাত রেখে -
ঘাড় ঝুঁকিয়ে ডাকলে-জিমি জনি গ্লসি ফ্লসিইইই-
তোমার প্রশ্রয়টুকু বুঝে নিয়ে
সরলরেখায় রোদ নামল তোমার গলায়, চিবুকে-
তারপর ঠোঁট ছুঁতে গিয়ে দেখলো
তোমার হাত বাইছে একবিন্দু পিঁপড়ে -
কালো ও তুমুল আলাভোলা-
তোমার শরীরভরা রোদ পেরিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে ছায়ায়
পিঁপড়ে
এই সব শীতকাল
চড়ুইভাতি
নৌকোবিলাস
এ সকলই পরজন্মকথা
পেয়েছি
পিঁপড়ে জন্ম
খুঁটে খাওয়া
কুটুস কামড়
পিষে মরা।
উল
বেড়ালছানারা খেলা করে
ক্রমাগত
স্বপ্নের ভেতরে
রামধনু রঙের মত তিনটে বেড়াল
ওঠে নামে খেলা করে
কয়লার গাদায়
কাছে এলে দেখা যায়
আলো নয় রং নয়
উলের সূতোয়
জড়ানো রয়েছে সব
বেড়ালের ছানা।
লাটাই খুঁজতে গিয়ে
উল্টো সোজা হাতে বোনা
ছেঁড়া খোঁড়া উলের ব্লাউজ
গোঁজা দেখি কয়লার গাদায়।
কুসুমের মাস
রূপকথা
শেষ হয়
এবারের মত
পুনরায়
প্রতীক্ষাকাল
যদিও ফেব্রুয়ারি
বসন্ত জাগ্রত-
তথাপি
সিনানশেষে
আবহমান
এলোচুল রোদ ব্যালকনি
সকাল
কুয়াশাঘন
বিষাদবাষ্পে
তবু গ্লিসারিনই
পৌঁছয়
ঠোঁট ছুঁয়ে
কমলা কোয়ায়।
বৈমেলা
সহসা যেন
অগম বিজন
রাতের শিশিরস্নানে
মরে আছে
শেষদুটি
বেগুনী কাঞ্চন।
অস্থির দুপুর
জুড়ে
কবুতরডাক-
খড়খড়ি
আলোছায়া
বাতাস অলীক
স্পর্শ করে
ক্যালেনডার স্থবির
অন্তহীন জানুআরি
নির্বাসনে যায়
আধোঘুমে
জেগে থাকে মাস ডিসেম্বর।
চেনা কাক
দেরি হবে আজ- এতো জানাই।
শয্যার মল্লিকাকুসুম
রজনীগন্ধার মালাদুটি
চন্দনের সাজ
কতদিন পর আবার এসব
গুছিয়ে আসতে
সময় লাগবে বৈকি
কাক বসে আছে ছাদের আলসেয়
চেনা কাক
থাক বসে
অপেক্ষায়
আজ কিছু দেরিতে প্রাতরাশ হবে।
Comments
Post a Comment