মৃগদাব
সুখ বলতে সুপর্ণার চোখে একটা ছবি ভাসত -সে ছবির কতখানি সত্য কতখানি মনগড়া না কি পুরোটাই স্বপ্ন -সুপর্ণা জানে না। সুখ ভাবলে কোথাও যেন কিরকির শব্দ করে প্রজেক্টর চালু হয়ে যেত আর একটা সাদা কালো ভিডিও ক্লিপ দেখতে পেত সুপর্ণা- চোখের একদম সামনে। সুপর্ণা দেখত, একটা চওড়া রাস্তা-নতুন সব ঘরদোর তৈরি হচ্ছে একদিকে-পাঁজা পাঁজা ইঁট, সিমেন্ট , বালি, স্টোনচিপসের ঢিপি, ভারা বেঁধে কাজ , অন্যদিকে অজস্র কাশফুল আর মহালয়ার আগের দিন বেলা দশটা নাগাদ মা বাবা আর সুপর্ণা রিকশা করে যাচ্ছে। সে ছবিতে রোদ চড়া নয়-নীল আকাশ ; আর সেই আকাশের নিচে পিচঢালা নতুন রাস্তা ধরে যেন এক গৃহপ্রবেশের নেমন্তন্নে যাচ্ছে সুপর্ণা, যেন ফিরবে সন্ধ্যায় , যেন বিকেলে আর পড়াশোনা নেই তার। তারপর যেন শেষরাতে মহালয়া শুনবে, আর তারপরদিন রবিবার। সোমবারে যেন কোনো ক্লাস টেস্ট নেই বরং পুজোর ছুটি পড়ে যাবে দুপুরে। এব্যতীত গৃহপ্রবেশের নেমন্তন্নের মেনুতে ফিসফ্রাই একথাও যেন জানা গেছে আগেই। একটার পর একটা সুখবোধ, আনন্দ, ভালো লাগা যেন মুক্তোর মালার মত পরপর গাঁথা- যেন কোথাও কোনো ফাঁক নেই, যেন বিষাদ কিংবা দুঃখ ঢোকার কোনো পথই খোলা নেই। ঘটমান বর্তমান আর অদূর ভবিষ্যত ম