Posts

Showing posts from September, 2023

পদ্মসম্ভব

  বহুদিন পর আমাদের ঘরদোরে   আজ পাহাড়ের গন্ধ। এক চিলতে বারান্দায় আবার একটা পুরোনো ব্যাকপ্যাক, ছেড়ে রাখা ভারি জুতোয় নুনের সাদা সাদা ছোপ   - রোদ এসে পড়েছে তাতে। বারান্দার দিক থেকে পাহাড়ের গন্ধ উড়ে আসছিল, আর এই খাট বিছানা, সোফা, টিভি, ডাইনিং টেবল,   চেয়ারের আগাপাশতলা ছেয়ে ফেলছিল - আকাশে জমে ওঠা মেঘের মতো, যেন এখনই বৃষ্টি নামবে।   আমি কোনোদিন পাহাড়ে যাই নি। বীথিকাও নয়। একটা পিকচার পোস্টকার্ডে পাহাড়ের রঙীন   ছবি দেখেছিলাম প্রথম - বাচ্চুদার ভ্যারাইটি স্টোরে। দোকানে ফিল্মস্টারদের ছবি ঝুলত - গাঢ় নীল ব্যাকগ্রাউন্ডে মিঠুন, অমিতাভ, বিনোদ খান্না, জীনত, হেমামালিনী , রেখা- সাদা বর্ডার দেওয়া, পোস্টকার্ড সাইজ -স্ট্যান্ডার্ড।   ওখানেই একদিন কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখেছিলাম- ঝাপসা একটা প্রিন্ট- ঋষি আর ডিম্পলের মাঝখানে ঝুলছিল। শ্রীদেবীর ছবির সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা ফ্রী দিয়েছিল বাচ্চুদা- " পাঁচবছর ধরে পড়ে থেকে   রঙ উঠে গেছে, কে   কিনবে ঐ ছবি? " সে সময় স্কুলের  ছুটি হলেই মামাবাড়ি- বহরমপুরে।  বার দুই দীঘা গিয়েছিলাম, পুরীতেও। ক্লাস নাইনের পুজোর ছুটিতে দার্জিলিং যাওয়ার কথা হয়েছিল- টিকিট কাটার ঠিক আগে পাহাড়ে  গন্ডগ

হেমন্তে যেমন ঘটেছিল

  একটা মথ আটকে পড়েছে চলন্ত গাড়িতে। প্রজাপতি নয় , মথ। গাড়িময় উড়ছে। আমার কাছে আসতেই ফুঁ দিলাম আলতো - রোমান হলিডেতে অড্রে   হেপবার্ন যেমন করে চুলের গুছি সরাচ্ছিল। অলকগুচ্ছ - বাবা বলে। মথটা উইন্ডশিল্ডে ধাক্কা খেয়ে   আবার উড়ে এলো আমার দিকে ;   খুব কাছে চলে আসছিল , আবার   ফুঁ দিলেই   গাড়ির সামনের দিকে উড়ে যাচ্ছিল। আবার আসছিল। যাচ্ছিল। পেন্ডুলামের মতো। যাচ্ছিল। আসছিল। সময়কে   কখনও খুব ছোটো মনে হয় - একটা বিন্দু। জাস্ট। চোখের সামনে সেই আবার   বেজায় প্যাঁচানো আর লম্বা হয়ে যেতে থাকে। এই ছিল একটা মার্বল , তারপরেই ময়াল সাপ।   মাথার ভিতর কেমন টলটল   করে , গুলিয়ে যায় সব যখন লম্বা সময় , ছোটো সময়টাকে গিলে নেয় আর আমি জালার মতো একটা পেটের ভেতর   কাচের গুলির নড়াচড়া দেখতে পাই - নিকষ কালো অন্ধকারের মধ্যে একটা দুটো তিনটে অনেক রঙ ঘুরে ঘুরে বেড়ায় - আমার   অস্থির লাগে , মাথার চুল টানতে থাকি , কান্না পায়। গড়িয়াহাটের ডাক্তারবাবু আমাকে এই সব   ডায়রির পাতায় লিখে রাখতে   বলেন - তারিখ , সময় সমেত। ক