সার্কাসের আলো
১ একটা ফিটনেস বলের ওপর শুয়েছিল প্রদীপ্ত। হাওয়াই চটি সমেত দু' পায়ের পাতা মাটিতে; লম্বা মানুষ হওয়ার সুবাদে হাতের আঙুল মেঝে ছুঁতে পেরেছিল; টী শার্ট ঈষৎ উঠে গিয়ে ফর্সা পেট দেখা যাচ্ছে প্রদীপ্তর- একটা বড় টিকটিকি নীল বলে লেপ্টে আছে - এইরকম মনে হচ্ছিল। অথবা দালির সেই সব ঝুলে থাকা চ্যাপ্টা ঘড়ি- পারসিস্টেন্স অফ মেমরি। এই গোটা ছবিটা রিফ্লেক্টেড হচ্ছে বড় একটা আয়নায় যার সামনে ফিটনেস বলের ওপর প্রদীপ্ত; আয়না রয়েছে পেল্লাই এক ঘরে যেখানে ইতস্তত ছড়িয়ে ডাম্ববেল, বারবেল, ওয়েট সেট, পাওয়ার র্যাক, কেজ, ফ্ল্যাট বেঞ্চ, স্কিপিংএর দড়ি, পাঞ্চিং ব্যাগ, ট্রেডমিল , ইলিপ্টিকাল আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে গোটা দশেক মেডিসিন বল, ফিটনেস বল এইসব। মানে একটা জিম আর কী; পুরোনো চালু জিমের পাশে আনকোরা নতুন আর এক- শহরের একদম মাঝখানে; পাশেই বড় রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাস- আপ ডাউনের ট্রেন, বাস মফস্সলকে অহরহ কানেক্ট করছে শহরের সঙ্গে - ঠিক যেভাবে প্রদীপ্ত একদিন এসে পড়েছিল আপের ট্রেন ধরে, আর ফিরে যায় নি তারপর। এখানে দেব, রুক্মিনী আসবে আগামীকাল- জিমের উদ্বোধন। অনেক আগেই হওয়ার কথা - করোনার ঝামেলায় এতদিন পিছোলো। আজ সারাদিন ওরা গোছগ