পায়ের তলায় সর্ষে
যখন পায়ের তলায় সর্ষে পড়েছিল অর্থাৎ পা হড়কে গতিজাড্যে চলতে শুরু করেছিলাম , তখন সদ্য বে করেছি।সত্যি কথা বলতে কি, আমার প্রথম বিবাহ বার্ষিকীতেই পায়ের তলায় প্রথম সর্ষে পড়ল।
সে সময় কর্মসূত্রে আমরা ভিন্ন প্রদেশবাসী-ঠিক হোলো বিয়ের এক বছর পূর্তিতে আমি যাবো তাঁর শহরে-ছুটির মেয়াদ সাত দিন।
ঠিক এক মাস আগে তাঁকে যেতে হ'ল ম্যানিলায়, ফেরার দিন অনিশ্চিত; কোম্পানীর লোকজন আর আত্মীয়স্বজনের সৌজন্যে আমার ভিসা যোগাড় হয়ে গেল-ঐ সাত দিন ম্যানিলায় কাটাবো।
আগে যেমন ঠিক ছিল সেইমতো বিকেল বিকেল রাজধানীতে চড়ে বসলাম, পরদিন রাতে ফ্লাইট দিল্লি থেকে; জম্পেশ খেয়ে দেয়ে তো রাতে ঘুম দিয়েছি, যত বারই ঘুম ভাঙে , ট্রেনের নট নড়ন নট চড়ন নট কিচ্ছু ...
সকালে শুনি বিশাল লেট-কোথায় কোন মালগাড়ী উল্টে পড়েছিল সেজন্যই এই হাল-যত বেলা বাড়ে, গাড়ী তত লেট হয় আর আমার টেন্শন তত বাড়ে -খাবার দাবার, বাথরুমের জল একে একে ফুরিয়ে সন্ধ্যে ৭টায় দিল্লি স্টেশনে নামলাম-আমাকে তখন কোম্পানীর কর্তার সঙ্গে দেখা করতে হবে, তিনি যেন কি দেবেন সঙ্গে নিতে, টাকা বদলাতে হবে-রাত সাড়ে ১১টায় ফ্লাইট।নিজের স্নান, খাওয়া, পোষাক বদলানোর কথা সেই মুহূর্তে ভাবাটাই বিলাসিতা।
গাড়ী খারাপ হওয়া ইত্যাদি আরো কিছু বিপর্যয় পেরিয়ে প্লেন ধরতে পেরেছিলাম, ভোররাতে হংকং নামতে হবে, সেখান থেকে ম্যানিলা-সেটাই আমার প্রথম বিদেশে পাড়ি।
ভোররাতে হংকং পৌঁছলাম-খিদেয় চোখে অন্ধকার-আগের দিন প্রায় কিছু পেটে পড়ে নি, প্লেনে মধ্যরাতে যখন খেতে দিয়েছিল তখন আমি ঘুমিয়ে কাদা।লাউঞ্জে ঢুকেই সসেজ আর কোক কিনে দাম দিতে গিয়েই মাথা বোঁ করে ঘুরে গেল। প্রথম বিদেশ পাড়ি, ডলার খরচ করতে গেলেই তাকে পঁয়তাল্লিশ দিয়ে গুণ করে ফেলি-দুটি সসেজ আর কোকের ক্ষেত্রে সেই গুণফলে আমি হতবাক-আর কিছুটি দাঁতে কাটলাম না বাকি বারো ঘন্টা-বিকেল ৪টেয় ম্যানিলার প্লেন।
সেই প্লেনে হাস্যময়ী বিমান সেবিকা খাবার দিয়ে গেলেন-নুডলস, সব্জী-খেতে গিয়ে দেখি নুডলসের মধ্যে চিংড়ি মাছ-কি সব্বনাশ-আমার যে চিংড়িতে অ্যালার্জি-এত ভয়ানক বোকা ছিলাম বা খিদের জ্বালায় এতটা বোকা হয়ে গিয়েছিলাম যে খাবার বদলে দিতে না বলে চিংড়ি ফেলে দিয়ে শুধু নুডলস খেয়ে নিলাম গবগবিয়ে। তারপর শুরু হল খেলা।
মিনিট দশের মধ্যে প্রবল বমনেচ্ছা-পাশের চীনা /জাপানী সহযাত্রীর তখনও খাওয়া শেষ হয় নি, বেচারীকে ঠেলে মেলে আমি বাথরুমে দৌড়-পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে বেরোতেই বল্লো প্লেন ম্যানিলায় ল্যান্ড করছে।প্লেন ল্যান্ড করল, দরজা খুললো, যাত্রীরা লাইন দিয়ে নামছে-আমার আবার প্রবল বমনেচ্ছা-কি ভাবে যে ইমিগ্রেশন পেরিয়ে, লাগেজ কালেক্ট করে বাইরে বেরোলাম বিস্তারিত করব না-আমার গুজরাতি কাজকরা আনকোরা শখের চাদরটি ম্যানিলা এয়ারপোর্টের ট্র্যাশক্যানে বিসর্জন দিতে হয়েছিল এটুকু বলাই যথেষ্ট।
বাইরে নবীন স্বামীটি কম্পিত বক্ষে দন্ডায়মান-এয়ারপোর্টের কাচ দরজা দিয়ে যিনি বেরোলেন তাঁকে দেখে তো স্বামী ভির্মি খান আর কি-বৌ না চিংড়ি? আমার ততক্ষণে চোখ মুখ ভয়াবহ ফুলে গেছে, যে নতুন শালোয়ার কামিজটি পরেছিলাম দুদিন আগে তার থেকে হলুদ রং বেরিয়ে সমস্ত মুখ গলা হলুদ ...
হোটেলে পৌঁছে, ডাক্তার বদ্যি, ইনজেকশন-
ছুটির মেয়াদ তো সাত দিন, তার মধ্যে দু দিন চিংড়িতেই উৎসর্গীকৃত-হাতে রইল পাঁচ। শহর দেখা, নিমন্ত্রণ রক্ষা সেরে একটা সকাল পাওয়া গেল তাল ভল্ক্যানো দেখার।
ম্যানিলা থেকে প্রায় ৭০/৮০ কিলোমিটার দূরে লেক, তার মধ্যে একটা ছোটো দ্বীপে তাল ভলক্যানো, মজার ব্যাপার হ'ল, এই আগ্নেয়গিরির ক্রেটারেও আরেকটি লেক, আমাদের অত্যুৎসাহী ফিলোপিনো ড্রাইভার বললেন ক্রেটারের লেকের মধ্যেও নাকি ...
ক্রেটারের লেকে সাঁতার কাটা যায় অল্প সময়ের জন্য।
আমাদের সময় খুব কম -চোখের দেখা দেখেই ফিরবো।
পাহাড়ী পথ, গাড়ী এঁকে বেঁকে উঠছে-হঠাৎ কোথা থেকে মেঘ না কুয়াশায় চারিদিক একদম ঢেকে গেল-হেড্লাইট জ্বালিয়ে একধারে দাঁড়িয়ে থাকা -সমস্ত পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন যেন-কিছু দেখা যায় না কোন দিকে-অনেকক্ষণ পরে আস্তে আস্তে একটু পরিষ্কার হ'ল -গাড়ী আবার চলতে শুরু করল।
লেক-এর কাছে পৌঁছে ডাক ছেড়ে কাঁদার যোগাড়-লেকের সামনে টুকু সামান্য দেখা যাচ্ছে-বাকি সব কুয়াশায় ঢাকা-কোথায় আগ্নেয়গিরি কোথায়ই বা তার মাথায় লেক ...
অনেকে বোটে তারপর ট্রেক করে ক্রেটার লেকে যায়, আমাদের তেমন কোন প্ল্যান ছিল না, লোকজনের কথা শুনে ভেবেছিলাম এভাবেই দেখা যাবে বেশ।
অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে হতাশ হয়ে ফিরে চললাম।
হাঠাৎ-ই আমাদের ড্রাইভার চেঁচিয়ে উঠলো-শিগ্গির পিছনে ঘুরে দেখে নিন, এক্ষুণি আবার ঢেকে যাবে-ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি-দূরে লেকের মাঝখানটিতে পাহাড়-চূড়াটি তার কেউ যেন কামড়ে খেয়ে গেছে-কেমন গা ছম ছম করে-আর সেই রহস্যময় মেঘ কুয়াশা দৌড়ে দৌড়ে আসছে তাকে ঢেকে দিতে ।সেখান থেকে গাড়ী ঘোরানোর কোনো উপায় নেই-যতক্ষণ না সম্পূর্ণ পাহাড়টি কুয়াশায় ঢেকে গেল আমরা তাকিয়েই রইলাম।
শুনলাম তাল ভলক্যানোটি এখনও সক্রিয়-মাঝে মাঝে ছোটোখাটো উদ্গীরণ হয়-তখন এই পাহাড়ী পথসমূহ, আশে পাশের জনবস্তি অন্ধকারে ঢেকে যায়-হাতে লন্ঠন নিয়ে পথ চলতে হয়--
দু বছর পরে, আবারও ফিরে গিয়েছিলাম রহস্যময় তাল-এ, একই অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে এসেছি।
এই আধো দেখা, না-দেখার জন্যই মনে থেকে যায় এই হ্রদ, হ্রদের মাঝে আগুনেপাহাড়, সেই পাহাড় চূড়োয় হ্রদ,সেই হ্রদের মাঝে ... জানি না ...
হয়তো এ'জন্যই পায়ের তলার সর্ষেদানাটি এখনও ঝেড়ে ফেলতে পারি নি।
সে সময় কর্মসূত্রে আমরা ভিন্ন প্রদেশবাসী-ঠিক হোলো বিয়ের এক বছর পূর্তিতে আমি যাবো তাঁর শহরে-ছুটির মেয়াদ সাত দিন।
ঠিক এক মাস আগে তাঁকে যেতে হ'ল ম্যানিলায়, ফেরার দিন অনিশ্চিত; কোম্পানীর লোকজন আর আত্মীয়স্বজনের সৌজন্যে আমার ভিসা যোগাড় হয়ে গেল-ঐ সাত দিন ম্যানিলায় কাটাবো।
আগে যেমন ঠিক ছিল সেইমতো বিকেল বিকেল রাজধানীতে চড়ে বসলাম, পরদিন রাতে ফ্লাইট দিল্লি থেকে; জম্পেশ খেয়ে দেয়ে তো রাতে ঘুম দিয়েছি, যত বারই ঘুম ভাঙে , ট্রেনের নট নড়ন নট চড়ন নট কিচ্ছু ...
সকালে শুনি বিশাল লেট-কোথায় কোন মালগাড়ী উল্টে পড়েছিল সেজন্যই এই হাল-যত বেলা বাড়ে, গাড়ী তত লেট হয় আর আমার টেন্শন তত বাড়ে -খাবার দাবার, বাথরুমের জল একে একে ফুরিয়ে সন্ধ্যে ৭টায় দিল্লি স্টেশনে নামলাম-আমাকে তখন কোম্পানীর কর্তার সঙ্গে দেখা করতে হবে, তিনি যেন কি দেবেন সঙ্গে নিতে, টাকা বদলাতে হবে-রাত সাড়ে ১১টায় ফ্লাইট।নিজের স্নান, খাওয়া, পোষাক বদলানোর কথা সেই মুহূর্তে ভাবাটাই বিলাসিতা।
গাড়ী খারাপ হওয়া ইত্যাদি আরো কিছু বিপর্যয় পেরিয়ে প্লেন ধরতে পেরেছিলাম, ভোররাতে হংকং নামতে হবে, সেখান থেকে ম্যানিলা-সেটাই আমার প্রথম বিদেশে পাড়ি।
ভোররাতে হংকং পৌঁছলাম-খিদেয় চোখে অন্ধকার-আগের দিন প্রায় কিছু পেটে পড়ে নি, প্লেনে মধ্যরাতে যখন খেতে দিয়েছিল তখন আমি ঘুমিয়ে কাদা।লাউঞ্জে ঢুকেই সসেজ আর কোক কিনে দাম দিতে গিয়েই মাথা বোঁ করে ঘুরে গেল। প্রথম বিদেশ পাড়ি, ডলার খরচ করতে গেলেই তাকে পঁয়তাল্লিশ দিয়ে গুণ করে ফেলি-দুটি সসেজ আর কোকের ক্ষেত্রে সেই গুণফলে আমি হতবাক-আর কিছুটি দাঁতে কাটলাম না বাকি বারো ঘন্টা-বিকেল ৪টেয় ম্যানিলার প্লেন।
সেই প্লেনে হাস্যময়ী বিমান সেবিকা খাবার দিয়ে গেলেন-নুডলস, সব্জী-খেতে গিয়ে দেখি নুডলসের মধ্যে চিংড়ি মাছ-কি সব্বনাশ-আমার যে চিংড়িতে অ্যালার্জি-এত ভয়ানক বোকা ছিলাম বা খিদের জ্বালায় এতটা বোকা হয়ে গিয়েছিলাম যে খাবার বদলে দিতে না বলে চিংড়ি ফেলে দিয়ে শুধু নুডলস খেয়ে নিলাম গবগবিয়ে। তারপর শুরু হল খেলা।
মিনিট দশের মধ্যে প্রবল বমনেচ্ছা-পাশের চীনা /জাপানী সহযাত্রীর তখনও খাওয়া শেষ হয় নি, বেচারীকে ঠেলে মেলে আমি বাথরুমে দৌড়-পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে বেরোতেই বল্লো প্লেন ম্যানিলায় ল্যান্ড করছে।প্লেন ল্যান্ড করল, দরজা খুললো, যাত্রীরা লাইন দিয়ে নামছে-আমার আবার প্রবল বমনেচ্ছা-কি ভাবে যে ইমিগ্রেশন পেরিয়ে, লাগেজ কালেক্ট করে বাইরে বেরোলাম বিস্তারিত করব না-আমার গুজরাতি কাজকরা আনকোরা শখের চাদরটি ম্যানিলা এয়ারপোর্টের ট্র্যাশক্যানে বিসর্জন দিতে হয়েছিল এটুকু বলাই যথেষ্ট।
বাইরে নবীন স্বামীটি কম্পিত বক্ষে দন্ডায়মান-এয়ারপোর্টের কাচ দরজা দিয়ে যিনি বেরোলেন তাঁকে দেখে তো স্বামী ভির্মি খান আর কি-বৌ না চিংড়ি? আমার ততক্ষণে চোখ মুখ ভয়াবহ ফুলে গেছে, যে নতুন শালোয়ার কামিজটি পরেছিলাম দুদিন আগে তার থেকে হলুদ রং বেরিয়ে সমস্ত মুখ গলা হলুদ ...
হোটেলে পৌঁছে, ডাক্তার বদ্যি, ইনজেকশন-
ছুটির মেয়াদ তো সাত দিন, তার মধ্যে দু দিন চিংড়িতেই উৎসর্গীকৃত-হাতে রইল পাঁচ। শহর দেখা, নিমন্ত্রণ রক্ষা সেরে একটা সকাল পাওয়া গেল তাল ভল্ক্যানো দেখার।
ম্যানিলা থেকে প্রায় ৭০/৮০ কিলোমিটার দূরে লেক, তার মধ্যে একটা ছোটো দ্বীপে তাল ভলক্যানো, মজার ব্যাপার হ'ল, এই আগ্নেয়গিরির ক্রেটারেও আরেকটি লেক, আমাদের অত্যুৎসাহী ফিলোপিনো ড্রাইভার বললেন ক্রেটারের লেকের মধ্যেও নাকি ...
ক্রেটারের লেকে সাঁতার কাটা যায় অল্প সময়ের জন্য।
আমাদের সময় খুব কম -চোখের দেখা দেখেই ফিরবো।
পাহাড়ী পথ, গাড়ী এঁকে বেঁকে উঠছে-হঠাৎ কোথা থেকে মেঘ না কুয়াশায় চারিদিক একদম ঢেকে গেল-হেড্লাইট জ্বালিয়ে একধারে দাঁড়িয়ে থাকা -সমস্ত পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন যেন-কিছু দেখা যায় না কোন দিকে-অনেকক্ষণ পরে আস্তে আস্তে একটু পরিষ্কার হ'ল -গাড়ী আবার চলতে শুরু করল।
লেক-এর কাছে পৌঁছে ডাক ছেড়ে কাঁদার যোগাড়-লেকের সামনে টুকু সামান্য দেখা যাচ্ছে-বাকি সব কুয়াশায় ঢাকা-কোথায় আগ্নেয়গিরি কোথায়ই বা তার মাথায় লেক ...
অনেকে বোটে তারপর ট্রেক করে ক্রেটার লেকে যায়, আমাদের তেমন কোন প্ল্যান ছিল না, লোকজনের কথা শুনে ভেবেছিলাম এভাবেই দেখা যাবে বেশ।
অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে হতাশ হয়ে ফিরে চললাম।
হাঠাৎ-ই আমাদের ড্রাইভার চেঁচিয়ে উঠলো-শিগ্গির পিছনে ঘুরে দেখে নিন, এক্ষুণি আবার ঢেকে যাবে-ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি-দূরে লেকের মাঝখানটিতে পাহাড়-চূড়াটি তার কেউ যেন কামড়ে খেয়ে গেছে-কেমন গা ছম ছম করে-আর সেই রহস্যময় মেঘ কুয়াশা দৌড়ে দৌড়ে আসছে তাকে ঢেকে দিতে ।সেখান থেকে গাড়ী ঘোরানোর কোনো উপায় নেই-যতক্ষণ না সম্পূর্ণ পাহাড়টি কুয়াশায় ঢেকে গেল আমরা তাকিয়েই রইলাম।
শুনলাম তাল ভলক্যানোটি এখনও সক্রিয়-মাঝে মাঝে ছোটোখাটো উদ্গীরণ হয়-তখন এই পাহাড়ী পথসমূহ, আশে পাশের জনবস্তি অন্ধকারে ঢেকে যায়-হাতে লন্ঠন নিয়ে পথ চলতে হয়--
দু বছর পরে, আবারও ফিরে গিয়েছিলাম রহস্যময় তাল-এ, একই অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে এসেছি।
এই আধো দেখা, না-দেখার জন্যই মনে থেকে যায় এই হ্রদ, হ্রদের মাঝে আগুনেপাহাড়, সেই পাহাড় চূড়োয় হ্রদ,সেই হ্রদের মাঝে ... জানি না ...
হয়তো এ'জন্যই পায়ের তলার সর্ষেদানাটি এখনও ঝেড়ে ফেলতে পারি নি।
Comments
Post a Comment