কাজলের ঘনত্ব
কাল রাতে আমি সম্ভবত রামেসিস হয়ে গিয়েছিলাম, আর কেয়া যেন নেফারতরি। অন্তত সেরকমই মনে হয়েছিল তখন। সকালে আবার তত শিওর নই। নিজের থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকেই দেখা তো। তাছাড়া উচ্চতা বদলে যাওয়ার একটা ব্যাপার ছিল যাতে সংশয় তৈরি হয়। প্রথমে দেখছিলাম, যেন ভিক্টোরিয়ার সামনে বসে গল্প করছি দুজনে; কেয়ার মুখের বাঁ পাশ দেখা যাচ্ছিল - রোদ পড়েছে গালে , ওর কানে ঝোলা দুল, ময়দানের হাওয়ায় হাওয়ায় চুল উড়ছে; দু হাতে হাঁটু বেড় দিয়ে বসেছে কেয়া- ঘড়ি, হাল্কা গয়না, পায়ের পাতা - চটির স্ট্র্যাপবিহীন; নিজেকেও স্পষ্ট দেখলাম- শরীরের ভার দুহাত মারফত ঘাসে রেখে পা টানটান ছড়িয়ে দিয়েছি। আমাদের পিছনে ঘন সবুজ ঘাস পেরিয়ে থামওলা অট্টালিকা- ভিক্টোরিয়াই হয়তো- ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে গিয়ে খেয়াল করলাম থামগুলো ক্রমশ উঁচু হচ্ছে -হচ্ছে তো হচ্ছেই- সেই সঙ্গে আমিও লম্বা হয়ে চলেছি, ঘাস টাস, কেয়ার প্রোফাইল কিছুই আর দেখা যাচ্ছে না। চোখের সামনে শুধু নীল পর্দা সরে সরে যাচ্ছে, যেন একটা গল্পের অতি দ্রুত পট পরিবর্তন ঘটছে- কী হতে চলেছে আন্দাজ করতে না পেরে পাঠক বিমূঢ় হয়ে পড়ছে ফলত। আমার মাথা টলটল করছিল, মনে হচ্ছিল পড়ে যাব। তারপর লিফট থামার মত ঝাঁকুনি লেগেছিল