আখ্যানে বারুদ ও অস্থির সময়
শ্রী তপনকর ভট্টাচার্যের গল্পগুলি পড়ে জার্মান এক্সপ্রেশনিজমের কথা মনে হয়েছিল - বাস্তবের প্রতিলিপির বদলে শিল্পীর নিজস্ব অনুভূতি পরিস্ফুট হত ছবিতে - সরল দেহাবয়ব, রং এবং বিশেষ ব্রাশস্ট্রোকে। মনে হয়েছিল হিন্টারল্যান্ড সিনেমার কথাও যেখানে ছবির স্বাভাবিক মাত্রাকে টেনে প্যানোরামিক ওয়াইড স্ক্রীনের মাপে করে দেওয়ায়, তদুপরি ডাচ টিল্টের ব্যবহারে গোটা পটভূমিই তমসাচ্ছন্ন আর অস্বস্তিকর, রাস্তার বাঁকে বাঁকে উঁকি দিচ্ছিল ভয়ংকর হিংস্রতা ও পাপ। বস্তুত, যাবতীয় সরলরেখা বেঁকে যাচ্ছিল, অসামঞ্জস্য তৈরি হচ্ছিল, ফলত অস্থিরতা। তপনকরের আখ্যানের ব্যাকড্রপে এই রকম অলীক অসামঞ্জস্য; এক ধরণের অস্থিরতা ধোঁয়ার মত ছড়িয়ে যায় গল্পে - অস্থির সময়ের বারুদ জমা হতে হতে বুলেট ছুটে বেরোয়। দৃষ্টিকোণের তারতম্যে ছিটকে বেরোনো আগুনকে স্বর্ণকমল বোধ হয় কখনও। তপনকরের অধিকাংশ গল্পে পিস্তল থাকছে, কিম্বা চাকু, ফলত রক্ত। অবশ্যম্ভাবী। অথবা কখনও গল্পের শুরুতেই মৃতদেহ পড়ে থাকছে, আর গোটা গল্প জুড়ে পিস্তলের খোঁজ চলছে, উঠে আসছে জীবনের চোরাগলি, কানা গলির কথা, গল্পের শেষ অশরীরী নাচে, যেখানে আখ্যানের এযাবৎ স্বাভাবিক মাত্রা প্যানোরামিক ওয়াইড স্ক্রী