বসন্ত থেকে
গতকাল দুপুর থেকেই পূর্বপ্রস্তুতির আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল। কোনো উৎসবের। সম্ভবত। কিম্বা খুব বড় কিছু নয়- হয়তো এমন কিছু, যা সচরাচর হয় না। ঘরের গন্ধই বদলে গিয়েছিল। স্নো পাউডার ভাত ডাল আলুর তরকারি আর ডেটলের গন্ধ সরিয়ে দিয়ে কখনও দুধ ওথলানোর বাস, কখনও মথবল , অথবা ফুলের গন্ধ বাড়ির নিজস্ব বাতাসে জায়গা করে নিচ্ছিল। ছাদের ঘর থেকে বড় কড়াই, হাঁড়ি বেরিয়েছে সকালেই, রোদ পড়ে যাওয়ার আগে সেকেলে জাজিম ছাদ থেকে ঘরে তুলে আনা হয়েছে, প্রাচীন ক্যাসেট প্লেয়ারে সেতার। অন্ধকার নামার আগেই ঘরের আলো জ্বালা হয়ে গিয়েছিল- ছোটো, মেজো, বড়ো- সব বাতি। ফুল আসছিল, মালা, সে সব ফ্রিজের অভ্যন্তরে ঢোকানোর সময় নীল বাষ্পময় আলো দেখা যাচ্ছিল; সেই আলোয় চেয়ার সোফাসেট , টেবিলের স্থান পরিবর্তন ঘটছিল অবিরত। যেন মঞ্চ, দর্শকাসন সাজিয়ে ফেলতে হবে, মাইক টেস্টিং সেরে ফেলতে হবে রাতের মধ্যেই। অথচ লোক বলতে ঐ তো তিনজন- টুসি, নমিতা, ঝন্টু। এই স্টেজে প্রতিদিনের কুশীলব। পুবের জানলার পর্দা সরানো থাকলে এই দেওয়াল থেকে রাস্তা দেখা যায়। সন্ধ্যের মুখে এখন যেমন। ফাঁকা রাস্তার মাথার ওপরে ঘন নীল মেঘ উঠছে, উল্টোদিকের বাড়ির দোতলায় আলো জ্বলল, আর যে পাখি তি