পাড়াতুতো চাঁদ
এখন যে পাড়ায় অশোকের ডেন্টাল প্র্যাকটিস, পঞ্চাশ বছর আগে এখানে সে প্রথম এসেছিল-লতিকাকে দেখতে। বড়দি ছিল, আর বোধ হয় দাদা বৌদি ছিল সঙ্গে। পাড়াটা একটু অন্যরকম। বড় রাস্তা থেকে মেয়েদের স্কুলের উল্টোদিকের গলি দিয়ে ঢুকতে হ'ত। ঢোকার মুখে একটা দোকান ছিল সে সময়- এমনিই টুকিটাকির দোকান অথচ আইসক্রীম পাওয়া যায় ঐ দোকানে- ফ্রীজারের এক ঝলক দেখে সে খুব আশ্চর্য হয় সেদিন-এখনও মনে আছে অশোকের। দোকানের পাশ দিয়ে ঢুকে বাঁ হাতে একটা ল্যাম্প পোস্ট-গাড়ি নিয়ে এলে, ওখানে গাড়ি রেখে হেঁটে যেতে হয়। সরু কানা গলি। গলির শেষ বাড়িটা লতিকাদের। গাড়ি থেকে নেমে গলিতে ঢুকতেই যেন ওদের পিছনে অদৃশ্য একটা ভারি দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল -বাইরের বড় রাস্তার আওয়াজ, ফেরিওলার হাঁক, রিকশর টুংটাং, ট্রামের ঘন্টি কিচ্ছু ছিল না এই গলিতে, বৈশাখের গরম হল্কা, পিচগলা রাস্তাও যেন দরজার বাইরে রেখে এসেছিল ওরা। খুব ছোটবেলায় জাদুঘরে ঢুকে ঠিক এইরকম মনে হয়েছিল অশোকের। গলির দুপাশে দু তলা তিনতলা বাড়ি-সব বাড়ি লাল রংএর, সব বাড়িতেই ঝুলবারান্দা। ভালো লাগছিল অশোকের। জাদুঘরে প্রথম ঢোকার আরাম আর রোমাঞ্চ ওকে পেয়ে বসেছিল একসঙ্গে। লতিকাদের বাড়িটা বেশ পুরোনো। উঁচু ছাদ