সমরেশের জীবনদেবতা
সন চোদ্দোশো কুড়ির মাঘ মাসের গোড়ায় , এক শনিবারের দুপুরে সমরেশের নিজেকে অসম্ভব সংকটাপন্ন মনে হতে লাগল । জায়গাটা একটা রেলস্টেশন । কলকাতা থেকে শ দুই কিলোমিটার । স্টেশনে সমরেশের পাশে সোহিনী আর দুটো ট্রলিব্যাগ । মাঘের রোদ তেমন কড়া নয় - সূর্যের আলো তেরছা হয়ে শেডের তলায় ঢুকেছে । রেললাইনের একদিকে তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে সমরেশরা দাঁড়িয়ে , চার পাঁচজন হকার গোল হয়ে বসে আর লাইনের অন্যদিকে কালচে ইঁটের ছোটো ঘর , লম্বা সজনে গাছ - টিনের চালে গোটা দশেক বাঁদর লাফাচ্ছে । আড়াইটে বাজে প্রায় । পাশাপাশি দাঁড়ানো ট্রলিব্যাগ দুটোর লম্বা ছায়া মুড়িওলার পিঠ থেকে সরতে সরতে চা গরমের কেটলিতে পড়ল । কলকাতায় যাওয়ার ট্রেনের অ্যানাউন্সমেন্টও হল তখন । মুড়িওলা তেলের বোতল ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে উঠে দাঁড়াল । চা গরম আর সাইড ব্যাগওলা প্ল্যাটফর্মের বাঁ দিকে আর চাবি - তালা - ক্লিপ - চিরুণিওলা ডানদিকে হাঁটতে শুরু করল । আর সমরেশ একটা সিগারেট ধরালো । ও সিগারেট ধরাতেই সোহিনী ওর পাশ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিল , ফলে সোহিনীর পা