অলীক পয়লা
পাথরে পা রেখে রেখে ছোটো জলস্রোত পার হচ্ছিল দলটা। সাতজন ওরা। জল বেশি ছিল না, পায়ের পাতাটুকুই ভেজে শুধু। ঈষৎ শ্যাওলা ধরা সবুজ পাথর। সাবধানে পার হচ্ছিল ওরা। হাত ধরে সাহায্য করছিল পরস্পরকে। সামনে উঁচুনিচু ঘাসজমি, ইউক্যালিপটাস, গাম ট্রী , একটু দূরে ছোটো টিলার ওপারে ফার্মহাউজ, ঘোড়া দেখা যাচ্ছে। কোথাও কাশ ফুটে আছে। এই ওয়াকিং ট্রেইল পেরিয়ে ওরা পাহাড়ে যাবে। পয়লা বৈশাখের ভোরে ব্লু মাউন্টেনে চড়ুইভাতি। বড়পিসিমা আর ভালোজেঠু গল্প করতে করতে হাঁটছিল। মাথায় রোদটুপি, হাতে লাঠি। মা আর চন্দ্রামাসির কালো রোদচশমা।একটু পিছনে হুইলচেয়ারে দাদাভাই - সোনামা ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। দিদা একা হাঁটছিল। নিচু হয়ে কুড়িয়ে নিচ্ছিল ছোটো ডাল, ইউক্যালিপ্টাসের বাকল। কাশফুল ফুটেছিল। সাদা নয়, ঈষৎ কালচে ছোপের । চন্দ্রমাসি দুটি কাশ তুলে একটি মা র হাতে দিচ্ছিল। বড়পিসিমা ঘাড় ঘুরিয়ে বলছিল, বাসু আর কমলা আইলে ভালো হইত। ওরা সাতজন এসে পৌঁছেছিল সিডনিতে, গতকাল। ভরা জ্যোৎস্না ছিল। বাগানের ম্যাগনোলিয়া গ্র্যান্ডিফ্লোরা গাছে সাদা বড় ফুল। বিকেলের বৃষ্টিতে ঝরে ঘাস জুড়ে ছড়িয়েছিল। দক্ষিণ গোলার্দ্ধে এখন শরৎ। মা বাগানে পা দিয়েই বলেছিল, সিডনিত