Posts

Showing posts from October, 2013

সার্কাসের আলো

বেগুণী আকাশের তলায় সার্কাসের তাঁবু আলোর মালায় সেজে আছে। শহর থেকে অনেকখানি দূরে। বৌভাতের সন্ধ্যায় ঈষ ৎ জবুথবু কনে বৌ ঘোমটা টেনে বসে। তাঁবুর ছাদের পরিধি বরাবর গোল গোল   নীলচে হলদেটে আলোর বল এক টানা সাজানো।   মস্ত বড় মেরি গো রাউন্ড - মাঝখানে লম্বা সামোভারে   সাদা গোল আলো - লাল , নীল , কমলা চায়ের কাপ ঘুরে চলেছে। বাচ্চারা হুটোপাটি করে খেলছে ;   মা , বাবা , ঠাকুমা , দাদু আইসক্রীম , পপকর্ন কেনার লাইনে দাঁড়িয়ে।   কর্নকবের চাহিদাও খুব। আর গরম কফির। বাতাসে সামান্য হিম রয়েছে।   খুব দূরের লাগছে সব কিছু। এবং অবাস্তব। একটু আগে মুখ থেকে   হঠা ৎ পড়ে যাওয়া লেবু লজেন্সের মত চাঁদ উঠেছে টুপ করে।   ভেজা আর সামান্য ক্ষয়ে যাওয়া। ঘাসজমি থেকে বড় রাস্তায় উঠলে   সিডনির স্কাইলাইন দেখা যাচ্ছে। চাঁদের নিচে মরা ঘাস , নুড়ি বিছানো জমিতে গাড়ি পার্ক করে তাঁবুর দিকে হাঁটছে সবাই।   হাল্কা হলুদ মাঠে   দুটি তিনটি ছায়া পড়ছে এক এক জনের । সবাইকে খুব অন্যরকম লাগছে ফলতঃ।   মনে হচ্ছে ,   সবাই সার্কাসে

রোব্বারের পরদিন

সকালেই বারান্দার গ্রিলে রোদ পড়ে। চৌকো খোপ খোপ , খোপের দুকোণে বাঁকানো লতা। রূপোলী রং। রোদ যত বাড়ে, বাঁকানো লতা, চৌখুপি ঘর তত তেতে ওঠে। হাত ছোঁয়ানো যায় না এক সময়। তারপর রোদ সরে যায়, গ্রিলের তাত কমে যেতে থাকে। গ্রিলের ওপরে নাক নিলে রোদের গন্ধ ওঠে। রুফাস নাক দিয়ে আওয়াজ করে বারান্দার মেঝে শোঁকে, গ্রিল , তারপরে বাতাস। চোখ পিট পিট করে। বাদামী চোখের পাতা, লোম। জিভ বের করে হাঁপায় । তারপর সামনের পা  টান করে, বারান্দার মেঝেতে পেট পেতে শোয়, মুখ নামিয়ে আনে থাবার ওপর। থাবা চাটে। তারপর  চোখ বোজে। ঝিমোতে থাকে। স্বপ্না বারান্দায় এলে  গা ঝাড়া দেয় । স্বপ্নার পায়ে পায়ে ঘোরে। রোদ সহ্য হয় না স্বপ্নার। আবার এই বাড়িটা এমনই হয়েছে যে রোদে রোদে ভরে থাকে। জানলায় কাচ বসানো। সামান্য কিছু আঁকা তাতে-এমনিতে চোখে পড়ে না-সকালের প্রথম রোদটা  সাতটার মধ্যেই হুড়মুড়িয়ে ঢুকতে থাকে আর তখনই বোঝা যায় নকশাটা-তিনটে নকশা সামান্য ব্যাঁকা হয়ে পড়ে মেঝেতে তারপর সোজা হয়ে দেওয়ালে-দশ মিনিট বড়জোর। তারপর মিলিয়ে  যায়। মিলিয়ে যে যায় তা নয়, আসলে তখন ঘরভরা রোদ থই থই করে-হাল্কা রোদের নকশা হারিয়