মজলিশ ২০১১
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হবে এখন। রোদ আছে। তবে প্রবল নয়। শেষ দুপুরে একফালি বারান্দাটি। একলা। গ্রীল বেয়ে মাধবীলতা। ছায়া পড়ছে বারান্দায়। সামনে বাগান। গেট। গেট খুলে একজন ঢুকলো। উস্কোখুস্কো চুল। চশমা, ঝোলা। আনমনা পাগলাটে ধরণ। বাগান পেরিয়ে বারান্দায় এসে বসল সটান। ঝোলা হাতড়ে বের করল মিষ্টির বাক্স। বারান্দায় রাখল। মাধবীলতার গুচ্ছ দুলে উঠল। সামান্য ধুলো-ও উড়ল কোথাও। কথা শুরু হ'ল। বারান্দা আর পাগলের। - এক বছর পরে, তাই না? তাই তো? -এই দিনেই আসি প্রতিবছর। বসতে আসি তোমার কাছে। বছরভর কাছেই থাকি। তবে গেটের ওধারে। দূর থেকে দেখে যাই। কেমন আছ? -তুমি? লেখা কি ছেড়ে দিলে? -লেখাই ধরে আমাকে, ছেড়েও যায়। -সে কেমনতরো? -সে এক রকম.. শুনবে? -শোনাও। -(পাগল গেয়ে ওঠে) আমি দেখি নাই তার মুখ আমি শুনি নাই তার বাণী/ শুধু শুনি ক্ষণে ক্ষণে তাহার পায়ের ধ্বনিখানি/আমার দ্বারের সমুখ দিয়ে সে জন করে আসা যাওয়া/ শুধু আসন পাতা হ'ল আমার সারা জীবন ধরে/ ঘরে হয় নি প্রদীপ জ্বালা তারে ডাকব কেমন করে/আছি পাবার আশা নিয়ে, তারে হয় নি আমার পাওয়া- (পাগল আপন মনে হাসতে থাকে। চুলে হাত চালায়। ঝোলায় হাত ঢোকায়। বার করে।) -তাকে চেনো না, তব