আপন গান
শবদে শবদে বিয়া হয়, সুর বসে, গান জন্মে। কানের ভিতর দিয়া মরমে পশে, থিতু হয়, বসত করে। সুখে সঙ্গ দেয়, দুঃখে হাত ধরে। সে গান বুকের গান। আপন গান। সময়ের পলির তলে তলে গানের ফল্গুধারা-কোন্ মুহূর্তে কখন্ সে আসে, ঘর বাঁধে বুকে, কখন্ আবার হারিয়ে যায়,বুকে চমক দিয়ে হঠাৎ ফিরে আসে কিম্বা ধুয়ার মত ফিরে ফিরেই আসে সারাজীবন... সে বড় সুখের সময় ছিল না। বাতাসে বারুদের গন্ধ মেলায় নি তখনও। সদ্যোজাত বাংলাদেশ। বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ মস্তক হারাচ্ছেন ক্ষণে ক্ষণে। আমাদের শহরতলীতে শিশুরাও পরিচিত বোমা, পাইপগানের গঠনে।নিষিদ্ধ শব্দরাজিতে যুক্ত হচ্ছে পার্টি, লাশ, নকশাল এবং চারুবাবু। স্কুল যাওয়ার পথ জুড়ে উদ্বাস্তু ভিখারিনী, যাতায়াতের পথে বাসে থ্যাঁতলানো কুকুর, রেললাইনের পাশের বস্তি, কুমোরটুলির খড়ের কাঠামো,নিষিদ্ধধ্বনিমাধুর্যে পূর্ণ অজস্র দেওয়াল লিখন। নিতান্ত অনলৌকিক। শৈশব হারিয়ে ফেলার কাল সে সময়। ঠিক সেই সময়েই আমাদের ইশকুলের প্রেয়ারহলে একটি শব্দবন্ধ আমার হাত ধরে-'বিকচকমলাসনে'। লাইনটি মাথায় পাক খায় সর্বক্ষণ-'তুমি যদি থাকো মনে, বিকচকমলাসনে/.. তুমি যদি দুখ পরে রাখো কর স্নেহভরে,তুমি যদি সুখ হতে দম্ভ করহ দূ