রথসচাইল্ডের জিরাফ
১ ঝুপ করে সন্ধ্যা নামল। আলো মরে গিয়ে বেশ ঠান্ডা। এখানে ঈষৎ উঁচুতে দাঁড়িয়ে গাছের মাথা থেকে শিকড়ের দিকে সূর্য নামা দেখা যায়। হঠাৎ হঠাৎ সাদা বক উড়ে যায় পায়ের তলা দিয়ে- তখন সাঁৎ সাঁৎ করে সাইকেল চড়ে কেউ গেল মনে হয় - মাথায় সাদা হেলমেট। আরো নিচে হ্রদ দেখা যাচ্ছিল - নীলচে রং এখন ঘন বেগুণী। জলের নাকি একটা হীলিং পাওয়ার আছে- রেণু কোথাও পড়েছে। শব্দটা যখন উপশম নয়, হীলিং পাওয়ার - মানে ইংরাজি বইতেই পড়েছিল। কিম্বা কোনো কোটেশন- হয়ত হোয়াটস্যাপে। সে যেন পড়েছিল, যত দুঃখ তত জল লাগে হীলিংএর জন্য। কেউ হয়ত টুক করে স্নান করে নিল, কারোর লাগলো গোটা সমুদ্র । আপাতত তার মনের কোনো শুশ্রূষার প্রয়োজন ছিল না - জলের দিকে তাকিয়ে একমনে স্মৃতিকে খেলিয়ে তোলার চেষ্টা করছিল রেণু। সুবর্ণ পাশে দাঁড়িয়ে। কব্জিতে বিয়ের লাল সুতো - হনিমুনে এসেছে ওরা। বঁড়শিতে স্মৃতির টুকরো টাকরা গাঁথলেই রেণু তা টেনে আনছিল - নেড়ে চেড়ে পরখ করে জলে ফেরত পাঠাচ্ছিল, কিম্বা আঁচলে বাঁধছিল, অথবা সুবর্ণর পকেটে ভরে দিচ্ছিল।স্কুলের গেটের সামনের ফুচকা, চুরমুর, হজমিগুলি, বন্ধুরা, ওর তানপুরা, হারমোনিয়াম, ওস্তাদজী, ডোভার লেনে ভোর হচ্ছে- আমজাদ খান সিন্ধু ভৈরবী ধরে