বৌঠানের ছাদ
বৌঠানের ছাদ দিব্যি রোদ ছিল এতক্ষণ। নরম তরম মাঘমাসের রোদ কাঁধ থেকে ফুটপাথে পিছলে যাচ্ছিল-আমার চাদরের মত; সেফটিপিন আটকে বাড়ির থেকে বেরোলাম -মেট্রোর ভীড়ে খুলে পড়ে গেছে কখন যেন; আসলে, তাড়াহুড়োয় বড় সেফটিপিনটা খুঁজে পাই নি । সকালে রেডি হচ্ছি- মা কথা বলে চলছিল,ননস্টপ। বলছিল, অন্য একটা চাদর নিতে - শাল টাল। বলছিল, 'বড় বড় লোক আসবে। একটু ভালো জামা কাপড় তো পরলে পারিস, সেই এক ভুষো ভুষো শালওয়ার কামিজ , রোঁয়া ওঠা চাদর, সোয়েটার। কালও তো ওটাই পরে বেরোলি -আবার সিনেমায় গিয়েছিলি, তাই না? ' এই আধা অন্ধকার ঘরে শুয়ে শুয়ে কীভাবে এত কিছু দেখতে পায় -কে জানে! -'বড় বড় লোক এলেই বা আমার কী? তারা যেন আমাকে দেখতে আসছে! সীতাপিসি, মাকে সকালের ওষুধটা দিয়ে দিলাম- দুপুর আর বিকেলেরটা দিও মনে করে। জলের ঢাকার ওপর রেখে যাচ্ছি, বুঝলে। আমি ন’টার মধ্যেই ফিরব। বিছানার চাদর আর বালিশের ঢাকাদুটো একটু বদলে দিও না গো, পিসি।' এদিকে মা বকবক করেই যাচ্ছিল; দু’ তিনবার কাশল- বেশ জোরে। সীতাপিসি রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে মা'র ঘরে গেল। মেঝেয় ওয়াকার ঘষটে চলার আওয়াজ - বাথরুম টাথরুম যাবে এবারে। টিফিনবক্সে রুটি আর বাঁধাকপ